বাংলাদেশি প্রবাসী মুসলমানদের ঢল নেমেছে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায়। কোন ঈদের মওসুম নয়, তবুও শহরের প্রতিটি রাস্তা আর অলিতে গলিতে সর্বত্রই মুসলমান নারী পুরুষদের চলা ফেরা।
শুক্রবার ৩ দিন দিনব্যাপী মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা (মুনা) সম্মেলন শুরু হয়েছে পেনসিলভানিয়া কনভেনশন সেন্টারে। এ সম্মেলনে অংশ নিতে শুক্রবার রাতেই হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান জড়ো হয়েছেন কনভেনশন সেন্টারে।
জানা যায়, গত ফিলাডেলফিয়া শহর ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি শহরের ৯৮ টি হোটেলে কোথাও কোন রুম খালি ছিল না শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। এছাড়াও ফিলাডেলফিয়ায় আশে পাশের নিকটবর্তী প্রায় ১০টি শহরে শেষ পর্যায়ে কোন হোটেল বুকিং দিতে পারেনি অনেকেই। এবারের মুনা সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে থেকে প্রায় ৩৫/৪০ জন সংবাদকর্মী এখন ফিলাডেলফিয়ায় অবস্থান করছেন।
পেনসিলভানিয়া কনভেনশন সেন্টা্রে শুক্রবার কয়েক হাজার ধর্মপ্রান মুসলমানের একত্রে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। এবারের সম্মেলনে অংশ নেওয়া ২০/২৫ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ৮০ শতাংশই বাংলাদেশি বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তের যেখানেই যান না কেন বাংলা ভাষাভাষিদের আলাপ আলোচনা শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশি মুসলমানদের এ ধরনের মিলন মেলার আয়োজন করতে পেরে ধন্য মনে করছেন মুনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এক কথায় তারা গর্বিত।
শুক্রবার সম্মেলনে বক্তব্য দেন সম্মেলনের আহবায়ক আরমান চৌধুরী (সিপিএ), মুনার ন্যাশনাল কমিটির সভাপতি ইমাম দালোয়ার হোসাইন, ব্যারিস্টার হামিদ এইচ আজাদ, নিহাদ আওয়াদ (চেয়ার) , ইমাম মোহাম্মদ আলি (এফইউটিএ), সাফা জারজোয়ার (সিরিয়ান ফোরাম), ড. ওসামা আবু আরশাদ (এএমপি), ড. আয়মান হাম্মমউস (এমএএস), সালমান মুজাহিদ (ইকনা), ওসামা জামাল (ইউএসসিএমও), ড. আলতাফ হুসাইন, ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ, ক্বারী সাঈদ দাহী, ক্বারী আব্দুল মাজিদ, সাজ্জাদুর রহমান ও ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার প্রমুখ।
এবারে মূখ্য আলোচকবৃন্দদের তালিকায় রয়েছেন-ড. ওমর সুলাইমান, সামি হামদি, মোহাম্মদ এলশিনাউই, ড. আলতাফ হোসাইন, ইমাম টম ফ্যাচাইন, হামজাহ আব্দুল-মালিক, ইমাম সিরাজ ওয়াহাজ, আসিফ হিরানি, শেখ আব্দুল নাসির জাংদা প্রমুখ। এছাড়াও ভার্চুয়াল তাফসির ও কুরআনভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেবেন তফসিরে অংশ নেবেন দেশ ও বিদেশের অন্যতম আলোচিত ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
জেএইচআর