স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাহাদুর শিকদার বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, মামলায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনিকে একমাত্র নামধারী আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
বাদি তার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে জনতার ওপর হামলা, হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাতসহ মারধর করে গুরুতর ও সাধারণ জখম এবং হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনেছেন।
মামলায় বাদি এজাহারে আরও উল্লেখ করেছেন, গত কয়েকদিন ধরে মহিউদ্দিন রনির নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আসামিরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত রোবার (১৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে রনির নেতৃত্বে হাসপাতালের মেডিসিন-২ এর চিকিৎসক ডা. দিলিপ রায়ের পথরোধ করে তাকে বেধড়কভাবে মারধর করা হয়।
এসময় ঘটনাস্থলের পাশে দাঁড়ানো ছিল বাদি বাহাদুর। আসামিরা বেআইনিভাবে জনতার ওপর লোহার রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলার সময় মহিউদ্দিন রনির হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তার (বাহাদুর) মাথায় আঘাত করে। এছাড়াও এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীদের কবল থেকে রক্ষায় কতিপয় কর্মচারী এগিয়ে এসে তাকে প্রাণে রক্ষা করেন।
এসময় আসামিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে রোগীদের স্বজনসহ কয়েকজন কর্মচারীকে রক্তাক্ত জখম করেছে। একপর্যায়ে আসামিরা হাসপাতালের কর্মচারীদের রাস্তায় পেলে খুন-জখমের হুমকি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার জুয়ের চন্দ্র শীল বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ এনে মহিউদ্দিন রনি ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফিসহ ৪২ জনকে আসামি করা হয়।
জেএইচআর