হাটহাজারীতে ১২টি স্থানে বসছে কুরবানি পশুরহাট

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২২, ০৩:৪৮ পিএম

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জমে উঠেছে কুরবানির পশু বেচাকেনা। উপজেলার ১২টি স্থানে বসছে স্থায়ী ও অস্থায়ী কোরবানির পশুরহাট। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ছোট বড় সাড়ে চার শতাধিক খামারে প্রস্তুত রয়েছে চৌত্রিশ হাজার পাঁচ শতাধিক গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ। 

এ উপলক্ষে পৌরসভা এলাকার প্রাচীনতম গরুর বাজারটি স্থায়ীভাবে থাকলেও অস্থায়ীভাবে বসছে পৌরসভা মীরেরহাট বাজার। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত অস্থায়ী কোরবানি পশুরহাট হিসেবে আরো বসছে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের নূর আলী মিয়ারহাট ও হাজী জব্বার হাট, ধলই ইউনিয়নের কাটিরহাট বাজার, মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া নয়াহাট বাজার, সরকারহাট বাজার ও বাকর আলী চৌধুরীহাট, মেখল ইউনিয়নের ইছাপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বাজার, দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের মধুনাঘাট বাজার এবং বুড়িশ্চর ইউনিয়নের বুড়িশ্চর বাজার। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে হাটহাজারী থানাধীন চসিক ১নং ওয়ার্ডের চৌধুরীহাট ষ্টেশনে পশুরহাট বসবে বলেও জানা গেছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে দেশি গরু এসে হাটে পরিপূর্ণ। পেশাদার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও নিজগৃহে লালনপালন করে বিক্রয়ের আশায় গরুছাগল হাটে তুলছে। তবে হাটে পশু কেনার চেয়ে দেখার লোক বেশি। এদিকে অস্থায়ী গরুর বাজার ইজারার শর্তাবলীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তার প্রতিরোধে পশুরহাটে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, প্রবেশ ও বাহির পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাবান ও পানির ব্যবস্থা রাখতে বলা হলেও তার কোন হদিস মেলেনি। 

ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে ১০০জন গরু দেখলে কিনে ১০জনে। বড় গরুর চেয়ে মাঝারী গরুর চাহিদা বেশি হওয়ায় তার দামও চওড়া। তারপরেও নিজেদের সামর্থ্যানুযায়ী ক্রেতাসাধারণ তাদের পছন্দমত গরু কিনছেন। গরুর খাদ্যের দাম ও হাটে গরু রাখার ভাড়াসহ সব খরচেই আগের থেকে বেশি। এবার হাটে ভারতীয় ও নেপালি কিছু গরু দেখা গেছে। এসব গরু অনেক আগে ভারত থেকে এনে লালন-পালন করা হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এর সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা।

গরু বেচাকেনা কেমন হচ্ছে, জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে লোকসান দিয়েছি। এবার বেচাকেনা এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ হচ্ছে না। ঈদের দুদিন আগে থেকে গরু বিক্রি হবে এমনটাই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার নাবিল ফারাবী বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ৪৬০টি খামারে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ রয়েছে। যারমধ্যে ১৫৮৩০টি গরু, ৯৩৩১টি ছাগল ও ভেড়া এবং ৫১১টি মহিষ রয়েছে। এসব খামারে আমাদের ইউনিয়ন পর্যায়ের চিকিৎসক দল কোরবানি পশু গুলোর প্রতি সার্বক্ষণিক পর্যেবক্ষণ করছে। এছাড়া স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসা কোরবানি পশুরহাটে পর্যেবক্ষণের জন্য চিকিৎসক দল রয়েছে। অননুমোদিত পশুরহাট গুলো উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিদুল আলম। 

তিনি আরো বলেন, উপজেলার বিভিন্নস্থানে ৯টি অস্থায়ীভাবে কোরবানির পশুরহাট বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যানজট নিরসন ও জনদুর্ভোগ লাঘব করতে মহাসড়কে কোরবানির পশু তোলাতে দেওয়া যাবে না। যদি কেউ তোলে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

কেএস