দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ: আইনমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২২, ০১:১৭ এএম

দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার অনেক প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দাতে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে ওআইসি’র প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে এক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে দুর্নীতি প্রতিরোধে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারকে গত দেড় দশকে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারসহ অনেক কাজ করতে হয়েছে।’  


আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন ব্যুরোকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন আইন প্রণীত হলেও এর বাস্তবায়নে সরকারকে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার সাধন ও নতুন আইন প্রণয়ন করতে হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এসিসটেন্স আইন, সাক্ষ্য আইনের সংস্কার। এছাড়াও, দুর্নীতির বহুমাত্রিকতা থাকায় তা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী আলাদাভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে, যাতে দুদকের পক্ষে দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া দ্রুততর ও সহজতর হয়।

 

তিনি বলেন, দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হওয়ায় পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে আঞ্চলিক ও আন্তজার্তিক সহযোগিতার বিকল্প নেই। তিনি পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ একজন প্রাক্তন সরকার প্রধানের সন্তানের পাচারকৃত অর্থ আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

 

আনিসুল হক বলেন, অসাধু ব্যক্তিরা দুর্নীতির জন্য নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করায়, তা শনাক্তকরণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে নিয়োজিত সংস্থার লোকবলের দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এ প্রসঙ্গে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও ডিজিটাইজেশনের উপর জোর দেন।

 

আইনমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার জন্য গৃহীত ওআইসি কনভেশনের আওতায় প্রশিক্ষণ, তথ্য বিনিময়, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ দুর্নীতি প্রতিরোধে উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

 

উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে ইন্টারপোলের মহাসচিব জার্গেন স্টক, জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত অফিসের নির্বাহী পরিচালক ঘাদা ওয়ালি, মিসরের প্রশাসন মন্ত্রী মেজর জেনারেল আমর আদেল ও এগমন্ত গ্রুপের সভাপতি জোলিসাইল খানাইল বক্তব্য রাখেন। পরে, আলোচকগণ ওআইসি সদস্য রাষ্টের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।