বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ সমূহ গ্রহণ করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ সমূহ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রচলিত জ্বালানির সাথে সাথে হাইড্রোজেন, এমোনিয়াকেও জ্বালানি হিসেবে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ অচিরেই গ্রীডে আসবে। নবায়ণযোগ্য উৎস হতে প্রায় ১২০৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী, আজ বিদ্যুৎ ভবনে “বাংলাদেশের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তির টেকনো-ইকোনমিক স্টাডি: চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা” (Techno-Economic Study of Electricity Generation Technologies for Bangladesh: Challenges and Opportunities) শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে অকৃষি জমির প্রাপ্যতা অন্যতম প্রধান সমস্যা। অনশোর ও অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ নিয়েও আমরা এগুচ্ছি। আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদান করা। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ণ ও গ্রীড সিংকোনাইজেশনকেও বিশেষ গুরত্ব দেয়া হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও অর্থায়ণ সংক্রান্ত কৌশলগত গবেষণা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ এনইএফ (Bloomberg NEF) বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন উৎস ও তার মূল্য নিয়ে গবেষণা আজকের এই কর্মশালায় উপস্থাপন করেন। ব্লুমবার্গ-এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান ড. আলী ইজাদী (Dr. Ali Izadi), দক্ষিণ এশিয়ার মার্কেট লিডার ইসু কিকুমা (Isshu Kikuma) ও সিনিয়র এসোসিয়েট তারুণ বালাকৃশনান (Tarun Blakrishnan) ব্লুমবার্গ-এর পক্ষে এই গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তারা নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে ইউটিলিটি স্কেলে নবায়ণযোগ্য জ্বালানিকে সহায়তা করা, রূপটপ ও ভাসমান সোলার ব্যবহার বাড়ানো এবং ক্লীন প্রযুক্তির চাকরির জন্য প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব দেন। এখানে তারা উল্লেখ করেন, কয়লার সাথে এমোনিয়া বা প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে হাইড্রোজেনের মিশ্রণে কার্বন নিঃসরণ কমানো গেলেও মূল্য অনেক বেশি পড়বে, অথচ সোলারের সাথে ব্যাটারী বা বায়ুর সাথে ব্যাটারী ব্যবহার অনেকটা সাশ্রয়ী।

বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্মসচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: হাবিবুর রহমান, স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মো: মাহবুবুর রহমান, বিআরইবি’র চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরীসহ দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরএস