নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক চাপ ও সমঝোতাতেই এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম

মুক্তিপণ দিয়ে সোমালিয়ায় জিম্মি নাবিক ও জাহাজ মুক্ত করা হয়েছে, এমন তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক চাপ ও সমঝোতার মাধ্যমেই এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে।

রোববার মিন্টো রোডের বাসভবনে এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মুক্তিপণের ব্যাপারে জাহাজটির মালিকপক্ষও সাংবাদিকদের কিছু জানায়নি। জানা গেছে, হেলিকপ্টারে তিনটি ব্যাগে করে মুক্তিপণের অর্থ দেওয়া হয়। টাকা বুঝে নিয়ে দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়। এরপরই মুক্ত হয় নাবিকসহ জাহাজটি।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিপণ সংক্রান্ত যে সংবাদ ও ছবি প্রচার করা হচ্ছে এসবের সত্যতা নেই। ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ ও সমঝোতার মাধ্যমেই নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের ফিরে আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন লাগতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুরা যখন জাহাজ থেকে নেমে যাচ্ছিলো তখন কয়েকজন নাবিককে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলো নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শক্ত ভূমিকা নেওয়ার কারণে এটা সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে তারা। নাবিকদের উদ্ধারে নানা চেষ্টা করা হয়। চলে কূটনৈতিক তৎপরতা। কিন্তু অগ্রগতি আসতে সময় লাগছিল। ঘটনার পরপরই জাহাজটি উদ্ধারে যায় ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ।

এমনকি জাহাজটির জিম্মি নাবিকদের ঈদও কাটে বন্দী দশায়। তবে তাঁদের ঈদের দিন ভালো খাবার দেওয়া হয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে বাংলা নববর্ষের দিন সুখবর এল। নিশ্চিতভাবে এটি নতুন বছর বরণের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে।

আরএস