টাকা ছাপিয়ে বারবার সুযোগ দেয়ার পরও যেসব ব্যাংক অবস্থার উন্নতি করতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় এ কথা বলেন তিনি।
গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে মার্জারের পাশাপাশি বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করবে সরকার। পাশাপাশি ব্যাংক পরিচালনায় আসবে কাঠামোগত পরিবর্তন। এমনকি যেসব ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে বারবার সুযোগ দেয়ার পরও অবস্থার উন্নতি করতে পারেনি, তাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, বর্তমানে দেশে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক। তবে আগামী অর্থবছরে তা ৫ থেকে ৬ শতাংশে পৌঁছাবে। দেশে ডলারের কোনো ঘাটতি নেই। সরকারের সক্ষমতা রয়েছে যে কোনো সময় প্রয়োজন অনুযায়ী চালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে পারে।
তিনি বলেন, ঋণের সুদহার তখনই কমানো হবে, যখন ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ভালো হবে। আর মূল্যস্ফীতি কমবে। ততদিন নীতি রেপো হার ১০ শতাংশ নির্ধারণ থাকবে। এছাড়া স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির হার ১১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটির হার ৮ শতাংশ বজায় রাখা হবে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘জানুয়ারির পর থেকে মূল্যস্ফীতি কমেছে। আমরা চাচ্ছি আরও কমবে। তবে যে পর্যায়ে নিতে চাচ্ছি সে পর্যায়ে আসেনি। মূল্যস্ফীতি ৩-৫ শতাংশে আনতে চাই। তবে এটি সময়ের ব্যাপার। এ সময় যে প্রেসার আসবে তা ওভারকাম করতে হবে।’
ব্যাংক খাত সারাক্ষণ নজরদারির মধ্যে রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিবর্তন করা হবে, যার জন্য আগামী মাসে প্রস্তাবনা দিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’