এটিএম আজহারুল ইসলাম

ভারতের তোষামোদকারীরা দেশের উন্নয়ন করতে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৫, ০৩:১২ পিএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, যারা ভারতের তোষামোদ করে, তাদের দ্বারা কখনোই দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ, ভারত কখনো বাংলাদেশের অগ্রগতি মেনে নিতে পারে না। দেশের স্বাধীনতা, ইসলাম, এবং ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় জামায়াতের নেতাকর্মীদের বারবার জুলুম-নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে আল্লাহর রহমত, জনগণের ভালোবাসা ও দোয়ায় জামায়াত এখনও অবিচল রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও কারামুক্তি উপলক্ষে শুকরানা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আজহারুল ইসলাম বলেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার একটি অবৈধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আমাকে বিনাদোষে ফাঁসিতে ঝোলানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। আমি মুক্ত হয়েছি, এবং আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এতোদিন জনগণকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল। এখন দ্রুত সে অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।”

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, “সবাইকে শিষ্টাচার বজায় রেখে গঠনমূলক রাজনীতি করতে হবে। আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমার যতটুকু ছিল, মৃত্যুর আশঙ্কা জেনেই আমি তা পরিবারকে দিয়ে দিয়েছি। এখন আমি শুধু আপনাদের সেবা করে যেতে চাই। আমি শুধু জামায়াত নয়—সব ধর্ম, বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করতে চাই। মহান আল্লাহ আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন, আমি সেই জীবন জনগণের কল্যাণে উৎসর্গ করতে চাই।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তারাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির এস. এম. আলমগীর হোসেন। আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল হালিম, রংপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, এটিএম আযম খান, মজলিশে শূরা সদস্য মাওলানা আব্দুর সাত্তারসহ জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, যুব ও ছাত্র সংগঠন এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা।

ইএইচ