‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ জনগণের আকাঙ্ক্ষার তেমন কোনো প্রতিফলন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণাপত্র পাঠের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সরকারের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ডা. তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেয়।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন— সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আযাদ।
ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে ডা. তাহের বলেন, ‘‘আমি মনে করি, জুলাইয়ের যে গণআকাঙ্ক্ষা, এই ঘোষণাপত্রে তার তেমন প্রতিফলন হয়নি। এটা একটি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।''
তিনি বলেন, ‘‘ঘোষণাপত্রে বলা হয়নি এটি কবে থেকে বাস্তবায়িত হবে— এটা কি কাল থেকেই বাস্তবায়ন শুরু হবে? তাও স্পষ্ট নয়। তাছাড়া আমরা চেয়েছিলাম, এটি যেন সংবিধানের প্রস্তাবনায় (প্রীঅ্যাম্বল) অন্তর্ভুক্ত হয়, কিন্তু সেটিও হয়নি।’’
ডা. তাহের আরও বলেন, ‘‘ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, আগামী সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে। তাহলে বর্তমান সরকার কিছুই করবে না— এই দায় এড়ানোর মানসিকতা স্পষ্ট। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে এত হালকাভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়াটা দুঃখজনক। আমরা হতাশ, জাতিও হতাশ।’’
এর আগে, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র যুক্ত হবে।
এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা ও আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে প্রয়োজনীয় সব আইনি সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয় ঘোষণাপত্রে।
ইএইচ