খুলনা প্রতিনিধি
মার্চ ২, ২০২০, ০৭:২৩ এএম
ব্রিজ নির্মাণের কাজকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুরুতর আহত খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদীউজ্জামান রাসেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার (১ মার্চ) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত রাসেল কয়রা উপজেলার বাগালি ইউনিয়নের বায়লারহানিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার সানার ছেলে।
এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করেনি। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তুহিন ও মিলন নামে দুইজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়রা উপজেলার বাইলা হারানিয়া গ্রামের আলিম মাদ্রাসার পাশে বাতিকাটা খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের ঢালাই কাজ চলাকালে রোববার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় হাফিজুর রহমান সানার তিন ছেলে তুহিন হোসেন, বাবু ও মিলন শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা এসে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।
এরপর বিকেল ৪টার দিকে তুহিনের চাচাতো ভাই কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান রাসেল কয়েকজন নেতাকর্মীসহ ঘটনাস্থলে আসলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এসময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক হাদীউজ্জামান রাসেল এবং ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াছিন আরাফাত, রাজু, আব্দুল্লাহ, আবুল হাসান ও সেলিমসহ উভয় পক্ষের ৭-৮জন আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত উপজেলা রাসেলকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পথে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাগালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার পাড় বলেন, ব্রিজ নির্মাণের জায়গা নিয়ে চাচাতো ভাইদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রাসেল গুরুতর আহত হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাসেল মারা যায়।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রাসেলসহ কয়েকজন আহত হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া পথে রাসেলের মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আমারসংবাদ/এমএআই