কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
জুন ১৫, ২০২০, ০৫:৩৫ পিএম
রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জে নতুন করে ১৮ জনের শরীরের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭২৭ জনে।
সোমবার (১৫ জুন) কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন আমার সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যাক্তিদের মধ্যে জিনজিরা ইউনিয়নের ০৫, রুহিতপুর ০১, তারানগর ০১, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ০১ তেঘরিয়া ০১, শাক্তা ০১, কোন্ডা ০১,শুভাঢ্যা ০২, আগানগর ০৩ এবং কলাতিয়া ইউনিয়নের ০২ জন। এর মাঝে ১৩ জন পুরুষ ও বাকি ০৫ জন নারী।
এখনো পর্যন্ত উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৭২৭ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে ২৬২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।
ডা.মীর মোবারক হোসেন জানান, কেরানীগঞ্জে করোনা পজিটিভের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। কেরাণীগঞ্জের মানুষ সামাজিক দূরত্ব না মেনে যে যার মতো বাহিরে বের হচ্ছেন। সবাই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। আর তাই আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে ঘরে থাকার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
এ সময় তিনি আরও জানান, কেরানীগঞ্জবাসীকে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি, মাস্ক পরে বাহিরে বের হতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে ঘোরাফেরা থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।
এছাড়াও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৭টি ইউনিয়নকে রেডজোন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সাথে সাথে ৩টি কে ইয়েলো/ হলুদ ও দুটি ইউনিয়ন কে গ্রীন/সবুজ জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
জোনগুলো হলো-
রেড জোন:- ১. জিঞ্জিরা ২. আগানগর ৩.শুভাঢ্যা ৪.কালিন্দি ৫.শাক্তা ৬.রোহিতপুর এবং কোন্ডা ইউনিয়ন
ইয়োলো জোন:- ১. কলাতিয়া ২. বাস্তা এবং ৩.তারানগর ইউনিয়ন
গ্রিন জোন:- ১.হযরতপুর এবং ২. তেঘরিয়া ইউনিয়ন।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল জানান, উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির জুম মিটিং হয়েছে, সেখানে আগামী শনিবার থেকে কেরানীগঞ্জে আদেশ কার্যকর করার বিষয়ে অালোচনা হয়েছে কিন্তু উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিদেশনা পেলে ইউএনও স্যার এগিয়ে আনতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, অনুগ্রহপূর্বক আপনারা সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করুন। উল্লেখ যে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার (১৬ জুন) থেকে রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় বেচা-কেনা, কর্মস্থলে যাতায়াত, ওষুধ কেনা, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমারসংবাদ/কেএস