Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

টাকার অভাবে স্বামীকে কিডনি দিতে পারছেন না স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি

নভেম্বর ২৫, ২০২০, ০২:০৫ পিএম


টাকার অভাবে স্বামীকে কিডনি দিতে পারছেন না স্ত্রী

স্বামী আওলাদ হোসেনের (৩০) দুইটি কিডনিই নষ্ট। দ্রুতই তাকে অন্ততঃ একটি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার রিয়া নিজের একটি কিডনি স্বামীকে দিতে চাইলেও টাকার অভাবে দিতে পারছেন না। নিজের স্বামীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

আওলাদ হোসেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর গ্রামের মৃত ছবেদ আলী মোল্লার ছেলে। বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মিরপুর ২ এর কিডনি ফাউন্ডেশনের ৫০৩ নম্বর রুমে ফ্রি বেডে চিকিৎসাধীন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১০ বছর মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন কাটিয়ে তিন বছর আগে দেশে ফিরেন আওলাদ হোসেন। দেশে ফেরার পরেই তার কিডনি রোগ ধরা পড়ে। পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায় তার দুটি কিডনিই শুকিয়ে গেছে। ওই সময় ছেলের জীবন বাঁচাতে ৭০ বছরের বৃদ্ধ মা জমেলা বেগম ছেলেকে একটি কিডনি দেন। এতে তিনি মোটামুটি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকেন।

বছরখানেক আগে আওলাদ হোসেন জেলার শিবালয় উপজেলার টেপড়া গ্রামের শাহানাজ আক্তার রিয়াকে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন। কিন্তু বিধি বাম! মায়ের দেয়া কিডনিতে বছর দুয়েক ভাল চললেও একমাস আগে পুনরায় আবার কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় তার মায়ের দেয়া কিডনিটিও ড্যামিজ হয়ে গেছে। এখন তার ডায়োলসিস চলছে। আবার কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

আওলাদ হোসেনের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার রিয়া স্বামীকে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দিতে চাইলেও টাকার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য প্রায় ৬ লাখ টাকার প্রয়োজন। দুই বছর আগে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করলেও বর্তমানে অর্থাভাবের কারণে চিকিৎসা করার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই।

এ ব্যাপারে স্ত্রী শাহানাজ আক্তার রিয়া মুঠোফোনে জানান, দুই বছর আগে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করা হয়েছিল। বর্তমানে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে অমি আমার একটি কিডনি দিতে চাইলেও টাকার জন্য সেটাও হয়ে উঠছে না। আমি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমার স্বামীর জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা কামনা করছি।

আওলাদ হোসেন বলেন, ২০০৮ সালে আমাদের জমিজমা, ভিটে বাড়ি সব পদ্মায় ভেঙে যায়। তারপর থেকেই অন্যের ভিটেবাড়ি ভাড়া করে ঘর তুলে কোনোরকম জীবন যাপন করছি। চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে হাত বাড়ানো ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। আমি বিনীতভাবে সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করছি, আমাকে বাঁচাতে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।

সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুন: কিডনি ফাউন্ডেশন মিরপুর-২, লিফটের ৪ তলা, ৫০৩ নং রুম, ফ্রি বেড। বিকাশ নাম্বার : ০১৭৪৫৩৭৫৫২১ (শাহানাজ আক্তার রিয়া)।

আমারসংবাদ/এমআর