ঢাকা
বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
নভেম্বর ২৮, ২০২০, ০৩:০৫ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় একটি মসজিদের কক্ষে তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটক হয়েছেন মোহাম্মদ আলী নামে এক ইমাম।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের আশরাফবাদ গাউসুল আজম জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইমাম মোহাম্মদ আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পুরান কদমতলী গ্রামের মো. ফয়জুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনার পর পুলিশ মুচলেকা নিয়ে তার বড়ভাই আউয়ালের জিম্মায় ছেড়ে দেয় ইমামকে।
জানা যায়, হোসেনপুর গ্রামের একব্যক্তি মারা গেলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিতে লোকজন মসজিদে গিয়ে ইমামকে খোঁজ করে। না পেয়ে মসজিদ ঘেষা ইমামের থাকা কক্ষের জানালার ফাঁক দিয়ে ইমামকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় জনতা। পরে লোকজনকে খবর দিলে এই দৃশ্য দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠে জনতা। পরিস্থিতি খারাপ দেখে ইমাম পেছনের দরজা দিয়ে মেয়েটিকে বের করে দেয়।
আটকের পর পুলিশ ইমামের ফেসবুক ইনবক্সে চেক করে ওই তরুণীর সাথে অনেক আপত্তিকর চ্যাটিং পায়। পরে মসজিদ কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন কমিটির সাথে আলোচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে ইমামকে বহিস্কার করে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ সেলিম এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন ইমাম এত নিকৃষ্ট হতে পারে ভাবতেই পারছি না। তার মতো ইমামের পেছনে নামাজ পড়াটা উচিত হয়নি।
মসজিদ কমিটি এখন থেকে আর অবিবাহিত ইমাম নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আলী জানান, মেয়েটি তার পূর্ব পরিচিত। তাকে দরজা বন্ধ করে কক্ষে নেয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। তবে তার সঙ্গে কিছুই করেননি বলে দাবি তার।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মসজিদে যায়। মেয়েটা পালিয়ে গেছে। ইমামের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক রয়েছে। মেয়ের পক্ষ থেকে যেহেতু অভিযোগ দেয়া হয়নি তাই তার ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আমারসংবাদ/জেআই
