Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইন্সেস বিধিমালা সংশোধনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ০১:৪৫ পিএম


সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইন্সেস বিধিমালা সংশোধনের দাবি

‘সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইন্সেস বিধিমালা-২০২০’ কে বাণিজ্য বিরোধী দাবি তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস্ ক্লিায়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন। একই সাথে সারাদেশে সিএন্ডএফ এজেন্টদের বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে শতভাগ মূসক (ভ্যাট) অগ্রীম প্রদান করে বিধায় মাসিক রির্টান প্রদান থেকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।

সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, তাদের যোক্তিক দাবি না মানলে আগামী ১৮ মার্চের পর সংবাদ সম্মেলনে করে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সারাদেশের পোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। একদিন পোর্ট বন্ধ থাকলে সরকারের কোটি কোট টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বেইলী রোডে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এই দাবি জানানো হয়েছে।

সভায় সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দ বলেন, কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ প্রনয়নের ক্ষেত্রেও ফেডারেশনের সাথে আলাপ আলােচনার জন্য প্রস্তাব প্রদান করা হলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে। বরং এস,আর,ও নং ৩৩৩-আইন/২০২০/১০৮/কাস্টমস এর মাধ্যমে একতরফাভাবে জারী করা হয়েছে। এই বিধির অন্যায্য, পশ্চাদপদ, হয়রানিমূলক ও অপ্রয়োজনীয় বিধি সমূহ দ্রুত সংশোধিত না হলে সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সারাদেশে ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টরা দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে অবদান রেখে চলেছেন। তাদের শ্রম-ঘামে আহরিত হচ্ছে রাজস্ব। তবে তাদের এই অবদানকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। প্রণিত বিধিমালা ২০২০, আদেশ নির্দেশনায় তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশিত হচ্ছে, যা অনভিপ্রেত।

তারা আরো বলেন, বিধি সংশোধনের জন্য সারাদেশে কালো ব্যাচ ধারন, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের মত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে। যৌক্তিক দাবিসমূহ তুলে ধরে প্রতিটি পোর্টে ব্যানার টানানো হবে। সিএন্ডএফ এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের স্বার্থবিরোধী অনেক বিধি অন্তভুক্ত করা হয়েছে। যা সংবিধানের ধারা ২০২ অনুযায়ী মৌলিক অধিকার পরিপন্থী। দাবি না মানলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।

কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০১৬ জারীর পর প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য ২০১৬ সালের ১২ জুন থেকে বার বার অনুরোধ জানানো হলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংগঠনের মহাসচিব সুলতান হোসেন খান বলেন, এনবিআর কর্মকর্তারা ষড়যন্ত্র করছে। ব্যবসায়ীদের দমন করার জন্য বাণিজ্য বিরোধী আইন বাস্তবায়ন করতে চাইছে এনবিআর কর্মকতারা। ঘুষের টাকায় বিশাল অর্থবিত্তের মালিক। আর বলে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের টাকা বেশি। কিন্তু তারা টাকার পদে পদে আমাদের হয়রানি করে আসছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন করা হবে।

সভায় সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, গত সোমবার আমাদের দাবিসমূহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরেছি। কিন্তু তারা কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে ববং ব্যবসায়ীদের লাইন্সেস বাতিলের হুমকি দিচ্ছে। নায্য দাবি না মানলে আমরা শত শত লাইন্সেস বাতিলের জন্য জমা দিতে প্রস্তুত।   

সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অর্থ সচিব এ কে এম আকতার হোসেন, সাংগঠনিক ও প্রচার সম্পাদক শেখ লিয়াকত হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, নির্বাহী সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, মো. কবির আহম্মেদ, সমন্বয়কারী লোকমান হাকিমসহ সোনা মসজিদ, বাংলাহিলি, আখাউড়া, বাংলাবন্দ সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।

আমারসংবাদ/জেআই