Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

দেশে ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট করোনা শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ৮, ২০২১, ০৮:৫৫ এএম


দেশে ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট করোনা শনাক্ত

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) শনিবার (৮ মে) জানিয়েছে, ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের ডাবল মিউট্যান্ট করোনার ধরনে আক্রান্ত প্রথম একজন রোগী দেশে শনাক্ত হয়েছে।

আইইডিসিআর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এস এম আলমগীর জানিয়েছেন, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শনিবার দুপুরে ওই রোগীর করোনার নমুনা পরীক্ষায় এটি শনাক্ত হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা ভারত থেকে ফিরেছেন। তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে যশোরে অবস্থান করছেন।

এ প্রসঙ্গে এস এম আলমগীর বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সেটি আমি দেখেছি। আর না ধরা পড়ছে বলেই এ ধরনের তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কয়জনের মধ্যে পাওয়া গেছে সেই সংখ্যাটা এখনো আমাদের কাছে আসেনি, তাই বলতে পারছি না।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভারত থেকে দেশে ফেরার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ফিরেছেন। তবে তারা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না সেটি জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

জানা গেছে, করোনার ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত। এ ধরনটিকে অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরন ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার মধ্যে একটি হলো করোনার অতি সংক্রামক ধরনের বিস্তার।

প্রসঙ্গত, ভারতে করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে মৃত্যু ও শনাক্তের। আজ শনিবারও  করোনাভাইরাস মহামারিতে একদিনে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে দেশটিতে। সরকারি হিসাবে ভারতে এদিন মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ১৮৭ জনের। আর একই দিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে চার লাখ এক হাজারের বেশি মানুষ।

ভারতে বর্তমানে মোট সক্রিয় রোগীর পরিমাণ ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৬ জন। মোট মৃতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজারের বেশি।

ভারতের নতুন ধরনের করোনা ভ্যারিয়েন্ট কোনোভাবেই যাতে বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে সেজন্য সীমান্ত ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ। গত ২৬ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। তবে যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা ভারতে বাংলাদেশি দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন।

আমারসংবাদ/জেআই