Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

স্বামীর কাছে যৌতুক দাবি, কারাগারে স্ত্রী

আমার সংবাদ ডেস্ক

অক্টোবর ১১, ২০২১, ০২:১৫ পিএম


স্বামীর কাছে যৌতুক দাবি, কারাগারে স্ত্রী

স্বামীর কাছে যৌতুক দাবি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার (১১ অক্টোবর) এক গৃহবধূকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর ইসলামের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্ত জয়নব ইসলাম। শুনানি শেষে আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর আদালতে নারী ও শিশু নিরোধ আইনের ৩ ধারায় চারজনকে আসামি করে নালিশি মামলা দায়ের করেন আরিফুল ইসলাম।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- তার শাশুড়ি শেফালী বেগম, খালা শাশুড়ি নাছরিন বেগম ও মামা শ্বশুর হাবিব বেপারী।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ২৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য রয়েছে।

জানা যায়, গত বছরের ৩ আগস্ট আরিফুল ইসলামের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জয়নব ইসলাম। বিয়ের সময় আরিফুল ইসলাম তিন লাখ ২০ হাজার টাকার পোশাক, অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে জয়নব ইসলামকে ঘরে তুলে নেন। বাদীর শাশুড়ি এবং তার স্ত্রী একসাথে বাস করায় প্রতিনিয়ত তাদের সংসার ও পারিবারিক কাজে হস্তক্ষেপ করতে থাকে।

জয়নব ইসলাম আরিফুলকে বলেন, তার মা যতদিন বেঁচে আছেন, তার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা যাবে না। তার কথা মানতে হবে, না হলে সে তার (আরিফুলের) কথা শুনবে না। উপায় না পেয়ে আরিফুল বিষয়টি নিয়ে তার খালা শাশুড়ি ও মামা শ্বশুরের সাথে কথা বলেন। বিষয়টি আলোচনা করলে তারা তাকে বকাঝকা করেন। এরপর আরিফুলের শাশুড়ি দুটো দোকান, অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য তার মেয়ের নামে লিখে দিতে বলে।

তখন ভিকটিম বলে, তার যা কিছু আছে সবই তো জয়নবের নামে হবে। আস্তে আস্তে সে লিখে দিবে। তখন শেফালী বেগম জয়নবের নামে যৌতুক বাবদ ৫ লাখ টাকার এফডিআর করে দিতে বলে। টাকা না দিলে তার মেয়ে সংসার করবে না।

জয়নব আরিফুলকে বলে, তার মায়ের কথার বাইরে সে যাবে না। মা যা বলে আরিফুলকে তাই করতে হবে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, কিছুদিন পর বাদী ব্যবসার কাজে বাহিরে যান। তখন তার স্ত্রী-শাশুড়ি ও অন্যান্য আসামিরা মিলে বাড়িতে থাকা স্বর্ণসহ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ও নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে মাদারীপুরে চলে যায়। ব্যবসার কাজ শেষে বাসায় ফিরে ঘটনা জানতে পারেন আরিফুল। পরে আসামিরা তাকে জানিয়ে দেয়, যৌতুক বাবদ ৫ লাখ টাকার এফডিআর না দিলে সংসার টিকবে না।

আমারসংবাদ/জেআই