আদালত প্রতিবেদক
নভেম্বর ১৫, ২০২১, ০১:৩৫ পিএম
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ হতে চাকরিকাল গণনার পরিবর্তে অন্য উপজেলায় বদলিকৃত বিদ্যালয়ের যোগদানের তারিখ হতে চাকরিকাল গণনায় বিবাদীদের নিক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে রুলে সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম যোগদানের তারিখ হতে চাকরিকাল গণনা করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য তৈরিকৃত গ্রেডেশন তালিকায় তাদের নাম কেন অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন উপজেলায় বদলিকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৭ জন সহকারি শিক্ষকের দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও সহ সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে এদিন রিটকারীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট বিপুল বাগমার।
রিটকারীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সম্প্রতি সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিতে জ্যেষ্ঠতার তালিকা (গ্রেডেশন লিস্ট) চূড়ান্তকরণের কাজ হাতে নিয়েছে। শিক্ষকদের গত মাস থেকে অনলাইনে একটি ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। আপনি বহিরাগত শিক্ষক কিনা এবং এ উপজেলা/থানায় কবে যোগ দিয়েছেন সেখানে এরকম প্রশ্ন রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয় উপজেলাভিত্তিক। নিজ উপজেলার বাইরে অন্যত্র বদলি হয়ে গেলে নতুন কর্মস্থলে ওই শিক্ষককে ‘বহিরাগত শিক্ষক’ বলা হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনে। প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির প্রশ্নে সারাদেশে সহকারী শিক্ষকরা বহিরাগত’ ও ‘স্থানীয়’ এ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন । অর্থ্যাৎ বদলিকৃত শিক্ষকদের সর্বশেষ যোগদানের তারিখ হতে চাকরিকাল গণনা করা হয় কিন্তু ২০১৯ সালের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন নীতিমালায় কোথাও বলা নেই যে বদলি হলে আগের অভিজ্ঞতা গণনা করা হবে না। তাই আবেদনকারীগন উক্ত রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।
রিট পিটিশনারগণ হলেন, (১) মোছাঃ সুলতানা রাজিয়া (২) মোছাঃ সাবিকুন নাহার (৩) আবিদা সুলতানা (৪) মিনি রানী বিশ্বাস (৫) খন্দকার মোফাজ্জল হোসেন (৬) নাছিমা আক্তার (৭) তুহিন আক্তার (৮) অজান্তি রায় (৯) সঞ্চিতা তালুকদার এবং (১০) নুরুন নাহারসহ ৩৭ জন সহকারি শিক্ষক।
আমারসংবাদ/জেআই