Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

কোকোকে কারা মারলেন জানালেন মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৫:০৫ এএম


কোকোকে কারা মারলেন জানালেন মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো অত্যান্ত মেধাবী একজন ক্রিয়া সংগঠক ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, তাকে মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার নির্মমভাবে অত্যচার করে হত্যা করেছে। 

রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে আরাফাত রহমান কোকোর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিএনপির ক্রিয়া সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি একজন ক্রিয়া সংগঠক ছিলেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্রিয়াঙ্গনে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তিনি নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। দুর্ভাগ্য আমাদের এই অত্যান্ত মেধাবী ক্রিয়া সংগঠক তাকে মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার নির্মমভাবে, অন্যায়ভাবে নির্যাতন করায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই অসুস্থ অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। আমরা মনে করি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আরাফাত রহমান কোকো সৃষ্টি হয়েছেন বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য, সৃষ্টি হয়েছেন ক্রিয়াঙ্গনের উন্নয়নের জন্য। আমরা আজকে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবর জিয়ারত করেছি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। পরে ২৮ জানুয়ারি আরাফাত রহমানের মরদেহ দেশে আনা হয়। ওই দিনই বনানী কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।

বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান তিনি। সেখান থেকে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। কুয়ালালামপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন।

অন্যদিকে মুদ্রা পাচার মামলায় বাংলাদেশের আদালতে ২০১১ সালে আরাফাত রহমান কোকোর ছয় বছর কারাদণ্ডাদেশ হয়। ২০১৩ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ে খালেদা জিয়া ব্যাংককে যাত্রাবিরতি দিয়ে ছোট ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেটাই ছিল মায়ের সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাৎ।

আমারসংবাদ/এআই