Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

কওমি শিক্ষার্থীদের নারীবিদ্বেষী করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

মে ৩, ২০২১, ০৮:১০ পিএম


কওমি শিক্ষার্থীদের নারীবিদ্বেষী করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমরা যখন কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করছি, তখন কওমি মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের জাতিবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও নারীবিদ্বেষী গুজবের কারখানা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চূড়ান্ত অপব্যবহার করছে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৩ মে) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করে। সেখানেই শিক্ষামন্ত্রীর এমন পর্যবেক্ষণ আসে বলে নির্মূল কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সরকারের অবস্থান তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, লক্ষ লক্ষ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে মূলধারায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। মানুষ শুধু দারিদ্র্যের কারণে নয়, ধর্মের কারণেও সন্তানকে কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। এই বাস্তবতাও আমাদের বুঝতে হবে।

আমাদের সবার দায়িত্ব সমাজে সচেতনতার ক্ষেত্র তৈরি করা। মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা না জিহাদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে- সে সম্পর্কে বাবা-মাকে জানাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই যথাসময়ের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাংলাদেশকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দেবেন। সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা একমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাব্যবস্থার চিন্তা দেখতে পাই। কিন্তু সেই শিক্ষাভাবনা নিয়ে আমরা আর এগোতে পারিনি’ ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধী, একাত্তরের পরাজিত মৌলবাদী গোষ্ঠীর রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক শিক্ষার বিস্তার করে।

তিনি বলেন, সামাজিক আন্দোলনের মানুষ হিসেবে সত্য-মিথ্যার হিসাব করা ‘সহজ’ হলেও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সময় তা সহজ হয় না। সরকার নতুন যে কারিকুলাম করছে, তার ভিত্তি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে একবারে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা সম্ভব নয়। কিন্তু সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি, একটি দেশের মধ্যে যেন দুটো জাতি গড়ে না ওঠে। যে মূল্যবোধের কারণে বাঙালি হিসেবে আমরা গর্ব করি, সেই অসাম্প্রদায়িক মানবিকতা, পরমতসহিষ্ণুতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা শিক্ষা আইন ও শিক্ষানীতি প্রণয়ন করছি।

আমারসংবাদ/এআই