ঢাকা
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,
জুন ১২, ২০২১, ০৫:৫০ পিএম
করোনো দেশে এলো গতো বছরের মার্চ মাসে। দীর্ঘ পনেরো মাস ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হাট-বাজার, গণপরিবহন, খেলার মাঠ, রাজনৈতিক জনসভাসহ সবকিছু কখনো চলে আবার কখনো বন্ধ হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর একতরফা লকডাউন হচ্ছে দাবি করে সারাদেশের চলে মানববন্ধন, আন্দোলন। চলছে এখনো। দেশে সর্বপ্রথম সশরীরে পরীক্ষা নেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাবিপ্রবি প্রশাসন।
সোমবার (৩১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিনদের সভা শেষে এমন সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. ফজলুল হক।
এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে হাবিপ্রবিসহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানববন্ধনরত শিক্ষার্থীরা। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সশরীরে পরীক্ষা গ্রহন ১০ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিলো।
হাবিপ্রবি রেজিস্ট্রার ডা: মো : ফজলুল হক জানিয়েছিলেন, ১০ জুন থেকে যে কোনো অনুষদ কিংবা বিভাগ চাইলে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষা চলাকালীন হলসমূহ বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে মেসে কিংবা বাসায় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
এছাড়া পরীক্ষা দেয়ার আগে মুচলেকা জমা দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ জানান, পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীরা যাতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসাসেবা পায় সেলক্ষ্যে মেডিকেল টিম গঠন করা হবে।
ওইদিকে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। ফের প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠতে শুরু করেছে হাবিপ্রবি। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চলে এসেছেন অনেক শিক্ষার্থী। যেহেতু হল বন্ধ থাকার শর্তে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে সেহেতু হলবাসী শিক্ষার্থীরা ছুটে চলেছেন মেসের খোঁজে।
কুড়িগ্রাম থেকে ফিরেছেন আল নোমান। তিনি জানান, দীর্ঘ পনেরো মাস পর ক্যাম্পাস তার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। করোনাকালীন বন্ধের সময়ও বিভিন্ন প্রয়োজনে তাকে কয়েকবার ক্যাম্পাসে আসতে হয়েছে।
তবে, এবার ক্যাম্পাসকে একটু অন্যরকম লাগছে। মনে হচ্ছে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে হাবিপ্রবি। নোমানের মতো ক্যাম্পাসে ফিরেছেন অনেক শিক্ষার্থী। ধারণা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী ফিরে আসবেন হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে।
উল্লেখ্য, গতো ২৪ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন এবং অবস্থান কর্মসূচী চলে আসছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেয়া পর্যন্ত তাদের মানববন্ধন কর্মসূচী চলবে বলে জানা গেছে।
আমারসংবাদ/এআই
