Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন ইকবাল: র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৭:৫০ এএম


গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন ইকবাল: র‌্যাব

সোমবার রাতে রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইকবাল হোসেন জাহাঙ্গীর ওরফে সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

এরপর এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাহিনীর মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

এসময় তিনি বলেন, ভোর ৩টার দিকে ইকবাল হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর ওরফে সেলিমকে দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনার ১৬ বছর এবং আদালতের রায়ের তিন বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) দেয়া তথ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ আভিযানিক দল ইকবালকে গ্রেপ্তার করে। 

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত ছিল ইকবাল হোসেন জাহাঙ্গীর ওরফে সেলিম (৪৭)। সেদিন মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়েছিল তিনি। 

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল জানায়, সে স্কুল ও কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। ১৯৯৪ সালে কেসি কলেজ, ঝিনাইদহে ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের নির্বাচিত শ্রেণি প্রতিনিধি ছিল।

তিনি বলেন, ঝিনাইদহের ইকবাল এক সময় ছাত্রদলে যুক্ত থাকলেও পরে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদে (হুজি) জড়িয়ে পড়েন। ২০০৮ সালে তিনি বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ২০২০ সালের শেষ দিকে তিনি দেশে ফেরেন।

র‌্যাব প্রধান আল মামুন বলেন, ২০০৮ সালে ইকবালকে গ্রেপ্তারের জন্য ঝিনাইদহে তার বাড়িতে এবং পরবর্তীতে গাজীপুর ও সাভারসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু ইকবাল আত্মগোপন করেন।

তিনি বলেন, ইকবাল ২০০৮ সালে দেশ ত্যাগ করে। প্রবাসে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় প্রথমে সেলিম এবং পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর নাম ধারণ করে। এক পর্যায়ে ইকবাল প্রবাসে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে ২০২০ সালের শেষের দিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

গ্রেনেড হামলার মামলার রায় হয়েছিল ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায়। ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ যে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে ইকবালও রয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয় আরও ১১ আসামির। দণ্ডিত ৩৩ আসামি কারাগারে থাকলেও পলাতক ছিলেন ১৬ জন। ইকবাল গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন পলাতক রইলেন ১৫ জন।
 

আমারসংবাদ/এআই