Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

পুলিশকে সুচিন্তিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে

জানুয়ারি ২৬, ২০১৬, ০৬:৪৮ এএম


পুলিশকে সুচিন্তিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে

What Begal thinks to day India thinks tomorrow. এ রকম একটি প্রবাদ শুনে আসছি যুগ যুগ ধরে। বর্তমানে কার্যক্ষেত্রে অথবা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কতটুকু উল্লেখ করা মত তা ভেবে দেখার বিষয়। বরং অপরাধের ক্ষেত্রে এমন কথা প্রযোজ্য যে, what criminal thinks today police thinks tomorrow
ক্রিমিনালরা কখনো একই মডাস অপারেন্ডিতে অপরাধ করে। পুলিশ যখন এই মডাস অপারেন্ডি সম্পর্কে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে, ক্রিমিনালরা তখন নতুন নতুন অপরাধের জন্য তাদের মডাস অপারেন্ডির পরিবর্তন করে থাকে। ফলে অনেক অপরাধ উদঘাটনে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। ক্রিমিনালদের মডাস অপারেন্ডি সম্পর্কে ধারণা থাকলে অপরাধের ক্লু বের করতে সহজ হয়ে থাকে। তিন দশ আগে বাংলাদেশের পুলিশের বিচক্ষণতা, অভিজ্ঞতা, অপরাধের ক্লু বের করতে তাদের প্রজ্ঞার প্রসংশা করে গেছেন ব্রিটিশ পুলিশের এস.পি. লেভেলের একজন কর্মকর্ত। ঢাকার সি.আই.ডি. কর্মকর্তারা চিটাগাং গিয়ে চিটাগংয়ের একটি ডাবল মর্ডার কেসের ক্ল বের করেছিলেন শুধু তাদের প্রজ্ঞা দিয়ে। এ প্রশংসার পাশাপাশি পুলিশ কখনো নিজকে অপকর্মের সাথে জড়িত করতে পারে। এটা বলতে হবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ জন্য পুলিশ বাহিনীকে দোষারোপ করা যাবে না।
পুলিশের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে চাঁদাবাজি একটি। তারা সাদা পোষাকে অভিযান কালে চাাঁদাবাজি এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে থাকে। এ কারণে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সাদা পোশকে পুলিশের অভিযান চালানোর ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অনেকেই এ উদ্যোগকে ‘একটি ভালো উদ্যোগ’ বলে প্রশংসা করলেও বিষয়টি হাস্যকর মনে হয়েছে। কয়েক বছর আগে, ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায় একটি প্রাইভেট গাড়ির পিছনের বাম্পারের সাথে একজন মটিরসাইকেল আরোহীর (সম্ভবত ডাক্তার ছিলেন) পা আটকে যায় এবং মটর সাইকেল আরোহী মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশে পক্ষ থেকে সাথে সাথে গাড়ির বাম্পার খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। ২০০২ সালে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট (?) নামে যৌথবাহিনী একটি অভিযান পরিচালনা করেন। সে সময় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে কিছু থানা অফিসারের সাথে অপরাধীদের সখ্যতা রয়েছে, তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপরাধীকে আগাম তথ্য জানিয়ে দেয়। ফলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব নয়। সাথে সাথে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় যে, কনষ্টবল থেকে ইন্সেপেকটর পর্যন্ত কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। এবং দীর্ঘদিন থানা পুলিশ মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকে। এটা কোনো প্রশংসনীয় উদ্যোগ ছিল না। ঠিক তেমনি অপরাধীতে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ সাদা পোশাকে অভিযান চালাতে পারবে না, এটা তেমনি কোনো গ্রহণযেগ্য উদ্যোগ বলে বিবেচনা করা যায় না। অপরাধীরা যে ভাবে মডাস অপারেন্ডি পরিবর্তন করে নতুন নতুন অপরাধের ধারা প্রবর্তন করে, ঠিক তেমনি অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকেও ‘মডাস অপারেন্ডির’ পরিবর্তন আনতে হবে। প্রয়োজনে ভিক্ষারীর বেশ ধারণ করতে হবে। এটা তাদের ইন্টানাল ব্যাপার। সাদা পোশাকে অভিযান চালাতে পারবে না, এ প্রজ্ঞাপন কি পারবে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে? পারবেন না, কারণ পুরো জাতির মধ্যে অবক্ষয়ের ক্যান্সার বাসা বেধেছে। এর মধ্য থেকে পুলিশকে বেরিয়ে আসতে হবে।। নৈতিকতা এবং মানবিকতা সম্পর্কে তাদের শিক্ষা দিতে হবে। শুধু শাস্তি দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না।