Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

রাজধানীতে পাঁচ মেট্রোরেল দ্রুত বাস্তবায়ন হোক

মে ১৫, ২০১৬, ০৬:২৬ এএম


রাজধানীতে পাঁচ মেট্রোরেল দ্রুত বাস্তবায়ন হোক

রাজধানীর যানজট নিরসনে নির্মাণ করা হবে পাঁচটি মেট্রোরেল। এর মধ্যে রাজধানী উত্তরা মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প এম.আর.টি-৬ নামে আশুলিয়া কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আগামী জুন মাস থেকে শুরু হচ্ছে এর নির্মাণ কাজ। এছাড়া গাজীপুর থেকে বিমান বন্দর দিয়ে কমলাপুর হয়ে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল পর্যন্ত এম.আর.টি-১ নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি আশুলিয়া সাভার গাবতলী ঢাবি-বিএসসিসি-কমলাপুর পর্যন্ত এম.আর.টি-২, কমলাপুর থেকে নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত এম.আর.টি-৪ এবং গাবতলী-মিরপুর-গুলশান-ভাটারা পর্যন্ত এম.আর.টি ৫ নামে একটি রিং মেট্রোরেল নির্মাণের প্রস্তাব করা হবে। এই ৫টি মেট্রোরেলের মধ্যে ৩টি মেট্রোরেল দ্রুত নির্মাণ করতে হবে বলে সড়ক ও মহা সড়ক বিভাগ সূত্র একথা জানিয়েছে।প্রকল্প জানায়, ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের প্যাকেজ-১ এর আওতায় এম.আর.টি-৬ এর মেট্রোরেলের ডিপো নির্মানের জন্য গত ২ মার্চ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। রাজধানীর উত্তরায় তৃতীয় স্থান থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেলে নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে আগামী এপ্রিল থেকে। এ জন্য রাজধানীর উত্তরা তৃতীয় পর্বে মেট্রোরেলের ডিপো নির্মানের কাজ দেয়া হয়েছে জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে। এ ব্যাপারে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নগরবাসীকে কিছুটা যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হবে, তাদের একটু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তাছাড়া মেট্রোরেল রুটে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা শব্দ ও কম্পন নিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এর ফলে শব্দ মাত্রা উল্লেখ যোগ্য পরিমাণ কমে যাবে এবং মেট্রোরেলের চলাচলের কারণে এ এলাকায় বিদ্যমান শব্দের তীব্রতা কোনোভাবেই বাড়বে না। সরকারের মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নেয়ার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। মূলত উড়াল সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে যানজটের অভিশাপ কিছুটা কমলেও বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, উড়াল সেতু থেকে গাড়ি বহর দ্রুত নেমে আবার রাস্তার মোড় গুলোতে যানজট তৈরি হচ্ছে। উড়াল সেতু হলেও কোনো না কোনো জায়গায় যানজট থেকে যাচ্ছে। এটা নিরসন করতে হলে মেট্রোরেলের বিকল্প নেই। পৃথিবীর প্রতিটি উন্নত দেশে মেট্রোরেল ব্যবস্থা আছে। উড়াল সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন শত ভাগ সফল হবে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পর। বাংলাদেশের মত পৃথিবীর আর কোনো দেশের মানুষ এতটা রাজধানী মুখী নয়। ঢাকা রাজধানীতে জনসংখ্যার চাপ ভয়ঙ্কর। যাতায়াতের ভয়াবহ অবস্থা। দাঁড়িয়ে, গাঁদাগাদি করে, ঝুলে-চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে বাসে যাতায়াত করতে হয়। নগরবাসীর এই দুর্বিষহ জীবনকে আধুনিক-স্বস্তির জীবন বলা চলে না। বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত মতিঝিলে যাওয়ার কোনো বাস পাওয়া যায় না। স্টেশনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অফিস আওয়ার বলেই এমন অস্বাভাবিক ভীড়। এমন ভীড় হয় অফিস ছুটির পরও। আজকাল নারী পেশাজীবীর সংখ্যা বাড়ছে। যতই ফতোয়া দিক না কেনো, নারীরা ঘরে বসে থাকছে না, অফিস আদালতে তাদের যেতেই হচ্ছে। অফিস আদালতে, ব্যাংকে, ডাকঘরে, পত্রিকা অফিসে উল্লেখযোগ্য পরিমান নারী চাকুরি করে। তাদের প্রতিদিন বাসে যাতায়াত করতে হয়। অস্বাভাবিক ভিড়ের মধ্যে বাসে তারা অনিবার্য ভাবে ইভটিজিং এর স্বীকার হচ্ছে। তারা দমবন্ধ করা অস্বস্তির শিকার হচ্ছে বাসে। এও লক্ষ্য করেছি বাসের চালক ও কন্ট্রাক্টর প্রায় সব সময় দায়িত্বহীন ব্যবহার করে যাত্রীদের ও মহিলা যাত্রীদের সঙ্গে। বাসে উঠতেই মহিলাদের এক ধরনের যুদ্ধ করতে হয়। এই অপ্রীতিকর দৃশ্যের অবসান হতে পারে যদি দ্রুত মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। সেতু মন্ত্রীর ওপর জনগনের আস্থা আছে, তিনি পরিশ্রম করে মেট্রোরেলের কাজটি দ্রুত সুসম্পন্ন করবেন।