Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

১০ টাকা দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকুক

সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৬, ০৬:০৪ এএম


১০ টাকা দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকুক

 ৭ সেপ্টেম্বর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুড়িগ্রামের চিলমারিতে তিনি হতদরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য এটি উদ্বোধন করবেন। সচিবালয়ে গত রোববার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য এই কর্মসূচি নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারিতে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’-শ্লোগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র পরিবার প্রতিমাসে (৫ মাস পর্যন্ত) ৩০ কেজি চাল ১০ টাকা দরে কিনতে পারবে। খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিধবা ও প্রতিবন্ধি নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি আছে। সেখানে জনপ্রতিনিধিরাও থাকবেন। তারাই হতদরিদ্রদের পরিবার সংখ্যা ঠিক করে দেবেন। নীতিমালা অনুযায়ী ১০ টাকা দরে দরিদ্রদের মাঝে চাল দেয়া হবে। খাদ্যমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, এখন থেকে টিআর ও কাবিখায় খাদ্যশস্যের পরিবর্তে টাকা বিতরণ করা হবে।

বহুকাল ধরে সমাজে বৈষম্য বাসা বেধেঁ আছে। যত আধুনিক ও উন্নয়নশীল হোক দেশ,তার অন্তরালে হতদরিদ্রদের একটা অংশ থাইে থাকে। তাই বর্তমান সরকার উত্তর বঙ্গের ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করার প্রকল্প হাতে নিয়ে প্রমাণ করেছেন,সমাজে হতদরিদ্র আছে। তাদের বাঁচানোর তাগিদে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হাতে নিয়ে মহৎ কাজ করেছে সরকার। ‘সমাজ কাঠামোর আমূল পরিবর্তন করতে হবে’, এ ধরনের মহাজনী বুলি না আউড়িয়ে ৫০ লাখ পরিবারকে বাঁচানোর পদক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়কোচিত চিন্তার পরিচয় দিয়েছেন। এ ধরনের কর্মসূচি তিনি আগেও নিয়েছেন।

যখনই চাল-ডালের দাম বেড়েছে তখনই তিনি টিসিবির কর্মসূচি চালু করেছেন। রাস্তায় রাস্তায় ট্রাকে করে সহনশীল দামে চাল-ডাল বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন। ভিজিএফ কার্ড বিতরণ শুরু হয় ১৯৯৮ সালের বন্যার সময় থেকে। বৃদ্ধদের ভাতা দেয়া, বিধবাদের সাহায্য করার কর্মসূচিও তার সরকার হাতে নিয়েছে।

উত্তর বঙ্গের মঙ্গা প্রতিরোধ করা শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়েছে। দেশের দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছেন তনি। সদিচ্ছা থাকলে, সৎ প্রচেষ্টা থাকলে দেশের মানুষের উপকার করা যায়, দেশের উন্নতি করা যায়। শেখ হাসিনা তার দৃষ্টান্ত। একই সঙ্গে আমাদের উদ্বেগও কাজ করছে। সরকারি দলের মধ্যে ‘চাটার দল’ নেই; এ কথা আমরা জোর দিয়ে বলতে পারি না। চাটার দল যদি এমন মহৎ কর্মসূচির মধ্যে লোভের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে হতদরিদ্ররা বঞ্চিত হবে। এমন না হোক, আমরা তা চাই। পরিচ্ছন্নভাবে কর্মসূচিটি সমাপ্ত হোক তা আমাদের কাম্য।

মাননীয় খাদ্যমন্ত্রীকে বিনীত অনুরোধ জানাবো, তিনি যেন শেখ হাসিনার সততার দৃষ্টান্ত উজ্জ্বল রাখার স্বার্থে কর্মসূচিটি যথাযথ পর্যবেক্ষণ করেন।উপজেলা নির্বাহী অফিরাকেও আমরা সাবধান হতে বলবো, তার স্টিয়ারিং কোনোরকম শিথিল হলে চাটার দল আপনাকে নাস্তানাবুদ করে ফেলবে। আপনারা কোনো দলের কর্মচারী নন, আপনারা জনগণের সেবক। সে ভাবে কর্মসূচিটি সফল করে তুলবেন আশা করছি। এর সঙ্গে একটা পরামর্শ দিতে চাই, পল্লী রেশনিং কার্ড চালু করে তা অব্যাহত রাখা যায় কিনা সরকারকে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। তাতে দেশের সব এলাকার হতদরিদ্ররা উপকৃত হবে। কম দামে চাল কিনে খেয়ে বাঁচতে পারবে।