Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন ভোটারদের নিয়ে উপহাস কিনা!

এপ্রিল ২৩, ২০১৫, ০৯:০৮ এএম


লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন ভোটারদের নিয়ে উপহাস কিনা!

 ৪ জানুয়ারী সরকারের অঘোষিত অবরোধের মধ্য দিয়ে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়। ঠিক সাময়িক শব্দের মাধ্যমে যেমন দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি বন্ধ হয়ে রয়েছে।  আমার দেশ পত্রিকার ছাপাখানা তালা দিয়ে পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছে। চ্যানেল ওয়ানসহ দেশের প্রায় দুই শতাধিক পত্রিকা বন্ধ। অনেক জেলা প্রশাসক পত্রিকা বন্ধ করার আয়োজন করেছেন। আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে দুই বছর ধরে কারাগারে রেখে কৌশলে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনীসহ প্রায় ২৫ জন সাংবাদিককে হত্যা করলেও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সফল না হলেও সাংবাদিক সমাজের বরেণ্য নেতা শওকত মাহমুদকে বাসে আগুন দেওয়াসহ বিস্ফোরণ মামলা দিতে সাফল্য অর্জন করেছে। এন টিভির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোসাদ্দেক আলী, একুশে টিভির আব্দুল সালাম ও বিশেষ প্রতিনিধি ড. রনক সরোয়ারসহ দেশজুড়ে অসংখ্য সাংবাদিক কারাগারে ও মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নির্যাতনের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলমসহ সম্প্রতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী আমলা ২০ দলীয় জোটের মূখপাত্র সালাউদ্দিন আহম্মেদসহ অগনিত মানুষ এমনকি শিশু বাচ্চা পর্যন্ত অপহরণ হচ্ছে। অথচ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অপহরণকারীদের গ্রেফতার করতে পারছে না। তাদের উদ্ধার করতে না পারায় দায়-দায়িত্ব আইন শৃংখলা বাহিনী এবং ১৪ দলীয় জোটের ঘাড়ে গিয়ে পরাই স্বাভাবিক। তাছাড়াও পেট্রোল বোমা, ককটেল হামলা, নিরীহ মানুষকে ধরে দুই পায়ে গুলি করে পঙ্গু করা, দেশের স্বচ্ছ ও মেধা সম্পূর্ণ দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের ন্যায় বিচার বর্হিভূত হত্যা ও বিচার বর্হিভূত হত্যার  উদ্দেশ্য পূণ্য বলেই অনেক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই অভিমত প্রকাশ করছে  দেশপ্রেমিক, স্বচ্ছ রাজনীতিবিদদের হত্যা, খুন, গুম ও অপহরণ পরাধীনতার পদধ্বনি কিনা এখনোই ভাবতে হবে। ২০ দলীয় জোটের শরীক দলগুলোতে ভাঙ্গন ধরাতে  বিএনপিতে গুপ্তচরদের প্রভাব এমন অবস্থায় গিযে পৌছিয়েছে যা এখন সর্বত্র আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। ২০ দলীয় জোটনেত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, তারেক রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায়ের ২০ হাজার নেতাকর্মীদের  বিরুদ্ধে ৭ লক্ষের মত কাল্পনিক ও রাজনৈতিক মামলা। আর এজাহারগুলোতে অজ্ঞাত সংখ্যা কত তা বলা কঠিন হলেও বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী ও সমর্থক এবং সাধারণ নাগরিকদের অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার উত্তম কলা-কৌশল হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা উপনিবেশিক শাসনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এমন অবস্থায় সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী প্রচারনায় নামলেই শাসক দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ও কর্মীদের  গ্রেফতার করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে ভাল বাণিজ্য চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ক্ষেত্র বিশেষ মোটা অংকের টাকা পেলে কাউকে কাউকে ছেড়ে দেওয়ার কথা শুনা যাচ্ছে। যা প্রতিনিধিশীল সরকারের কাছে মানবাতবিরোধী অপরাধ হিসাবে  বিবেচিত। এমন অবস্থায় ভোটহীন ভোটারহীন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে নির্বাচন কমিশন গোটা জাতির কাছে বিতর্কীত হলো। সেই নির্বাচন কমিশন ৩ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ভোটারদের অধিকার কতটুকু নিশ্চিত করতে পারবে তা এখন সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। নির্বাচনের আর বেশী সময় বাকী না থাকলেও নির্বাচন কমিশন ইসি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীতে আন্তরিক এটা প্রমান করতে সক্ষম হয় নাই। এক্ষেত্রে গ্রাম্য প্রবাদ অনেক জায়গায় আলোচনা, গ্রাম্য সেই প্রবাদ হচ্ছে-  একজন ব্রাহ্মন তার জমিতে আখ লাগিয়েছিল! ৩ বন্ধু আখ ক্ষেতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আখ দেখে তাদের খুব খাওয়ার লোভ হওয়ায় আখ ভেঙ্গে তা খেতে থাকে।  ব্রাহ্মন দেখতে পেয়ে তাদের কাছে ডেকে সবার পরিচয় জানতে চায়। তারা একজন বললো আমি  খ্রিষ্টান, একজন বললো আমি হিন্দু আর একজন বললো আমি মুসলমান। এবার ব্রাহ্মন বললো তুমি মুসলমান   হলেও আমার প্রতিবেশী আর ও হিন্দু আমার ধর্মের অনুসারী কাজেই তেমারা দুইজনে আখ খেলেও, তুমি (খ্রিষ্টান) আখ খেতে পার না, এই বলে খ্রিষ্টান শিশুকে বেধড়ক পেটালেন। তার পর হিন্দু শিশুকে ব্রাহ্মন বলনেল, তুমি আমার ধর্মের অনুসারী তুমি আমার ক্ষেতের আখ খেতে পারে, কিন্তু তুমিতো মুসলমান তুমি আমার খেতের আখ খেতে পারনা এই বলে, মুসলিম শিশুকে বেধড়ক পেটালেন। এর পর হিন্দুু শিশুকে বললেন, তুমি আমার ধর্মের অনুসারী হয়েও তুমি  কেন আমার ক্ষেতের আখ খেলে ? এই বলে হিন্দু শিশুকেও বেধড়ক পেটালেন। এভাবে কৌশলে এক এক করে তিনজনকেই বেধড়ক পেটালেন। আজকে বাংলাদেশে প্রতিপক্ষদের ঘায়েল করতে সেই কৌশলই অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বিচার বর্হিভূত হত্যা,ন্যায় বিচার বর্হিভূত হত্যাম খুন, গুম, অপহরণ করলেও আইনগত সহযোগিতা পান না। আর তার কারণ ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের পরিবর্তে অবিশ্বাস ছড়ানোর দায়িত্বে নিয়োজীত একদল নেতাকর্মী অত্যন্ত সুক্ষèভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রসঙ্গক্রমে বলতেই হয়, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশ গ্রহণকে সাধুবাদ জানিয়েছে। কিন্ত  যেখানে সিটি কর্পোরেশন ও পৌর সভার নির্বাচিত মেয়রদের নানা কৌশলে বহিস্কার করা হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনেকেই এ থেকে রেহাই পায় নাই। অথচ  দুই যুগের উপর অনেক মেয়র কিনা বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় আছে শুধু আওয়ামী লীগ সমর্থন করার কারণে। সেখানে নির্বাচিত মেয়রদের বহিস্কার কি প্রমান করে একটু ভেবে দেখতে হবে। তারপর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে এমন নিশ্চয়তা এখনো ভোটাররা পায় নাই। স্থানীয়  সরকার নির্বাচন মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে পারবে কি ? নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব যারা পালন করছেন তারাতো দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের অধিকার খর্বের অভিযোগে অভিযুক্ত। এছাড়াও বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট থেকে যারা ঢাকার সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করছেন কর্মী সমর্থকরা শাসকদের চর হিসাবে চিহ্নিত করে থাকে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো,মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর, শামসুজ্জামান দুদু, শমসের মবিন চৌধুরীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে কারাগারে ন্যায় বিচার বর্হিভূত সাজার সম্মখীন হতে হচ্ছে। কেউ বা বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনে আগেভাগেই কারাগারে গিয়ে নিরাপদে আছে। এমন পরিস্থিতিতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের গুরুত্ব কতটুকু তাও হিসাব করছে অনেকে। তাদের ভাষায় ২০ দলীয়  জোটের বাইরে সমর্থন জানানোর অর্থই হচ্ছে, বিএনপি তথা ২০ দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা। ৯২ দিনের আন্দোলনে ২০ দলীয় যে সকল নেতাকর্মী ও সমর্থক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের পরিবারের ভাষ্য হচ্ছে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাই যদি থাকে তাহলে জনগনের পয়সায় কিনা গুলি আর জনগনের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজীতদের গুলিতে হত্যা, খুন, গুম, অপহরণ, মিথ্যা মামলার পরিবেশ সৃষ্টি করা কি প্রয়োজন ছিল ? তারা বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনা পাওয়ার প্রচারনার জন্য মাঠে নেমে গনগ্রেফতার হচ্ছে। ভূক্তভোগী নেতা কর্মীদের অভিমত তারা মন্ত্রী, এমপি কিংবা জনপ্রতিনিধি হবে না। কিন্তু    শান্তিতে বসবাসের জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, রিয়াজ রহমান ও সালাউদ্দিন আহম্মেদদের কিছু হয়ে গেলে আতœগোপনকারী নেতাদের কিছু আসে যায় না। মানবতবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ বিচারের স্বচ্ছাতা নিয়ে যেমন  বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন দেখা দিলেও জাতিসংঘ এবং ইসলামী সম্মেলন সংস্থা ওআইসিকে বিচারিক বিষয়গুলো নিরপেক্ষ পর্যালোচনা করে তার পর বাস্তবায়নের  আহ্বান জানাতো এমন ধারনা সঠিক নয়!  বিএনপি জামাত-শিবির ছাত্রদল নিশ্চিহ্ন করার ঘোষনা খোদ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দিচ্ছেন। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিচার বর্হিভূত হত্যা, খুন, গুম, অপহরণ, ন্যায় বিচার বর্হিভূত নির্দেশনা জাাতিকে  মেরুদন্ডহীন করার চক্রান্ত এক এক করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চৌধুরী আলম, এম ইলিয়াস আলী, সালাউদ্দিন আহম্মেদ সাদা পোষাকধারী কর্তৃক তুলে নিয়ে গেলেও তাদের ফেরৎ দিতে সরকারের দায়িত্বশীলতার অভাব থাকলেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের নিশ্চিহ্ন করতে সফল অভিযান চালাতে সক্ষম হয়েছে। তিনি এবং তার দলের নেতাকর্মীরা আগাম যে ঘোষনা দিচ্ছেন  আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সিভিল প্রশাসন ও বিচারকদের অধিকাংশ তা করেছেন ঐ বক্তব্যের সাথে যা দাড়ি কমা পর্যন্ত মিলে যাচ্ছে।  এমন একটা জটিল কঠিন অবস্থায় আন্দোলন থেকে পিছুটান দেওয়ার পিছনে কি এমন রহস্য নিহীত তা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অনুসন্ধান করতে হবে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন  ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে জনগন তাদের ভোটের অধিকার ফেরৎ পেতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ও তাদের ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান। প্রয়োজনে রিটার্নিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার পর্যন্ত সেনা সদস্যদের উপর দায়িত্ব প্রদানের কথা অনেকেই বলছে। তাদের ভাষায় দলবাজ সিভিল প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি কর্মকর্তারা জনগনের রায় পরিবর্তন করে দেবে বিতর্কীত  নির্বাচন কমিশনের অজ্ঞাতে। এই চক্রান্ত বাস্তবায়নের আগেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবী উঠেছে। এ নির্বাচন জিয়া পরিবারসহ দেশ প্রেমিক স্বচ্ছ রাজনীতিকদের সুক্ষèভাবে হত্যার কৌশল কিনা তা ভেবে দেখার দাবী উঠেছে। ১৯৭৩ ও ২০১৪ মতই ভোটার অধিকার খর্ব করতে আওয়ামী প্রার্থী বাইরে অন্যদের প্রচারনায় বাধা দিচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, সাদা পোষাকধারী ও স্থানীয় আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী। নির্বাচন কমিশন এগুলো দেখতে পাচ্ছে না বলে মন্তব্য শুরু হয়েছে। যে নির্বাচন জনগনের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবে না, তাতে অংশগ্রহণের যুক্তিগত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তারপরও নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো হয় নাই। বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের নির্দেশ। গত সোমবার গণতন্ত্রের গলা টিপে হত্যা করতে কাওরান বাজার এলাকায় হামলায় মুহুমুহু ইট নিক্ষেপে ২৩ জনের আহতের চাইতে বেশী পিড়াদায়ক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৪, ৫ই জানুয়ারী কেউ লজ্জা দিতে পারে বলে মন্তব্য শুরু হয়েছে। সরকারী দলের একজন মেয়র প্রার্থীর  ক্যাডার আল আমিন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে বলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।  অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন বেগম জিয়ার উপরে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী সিএসএফ এর কারণে গোলযোগ লেগেছে। কিন্ত শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশন বলেছে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রচারনায় বাধা দেওয়া হচ্ছে এমন লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক সংকটকালীন মুহুর্তে কেউকি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করতে বলেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর হামলা দেশের সকল গনমাধ্যমে প্রচার হলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে  বলে শুনা যাযনি। তাহলে এ নির্বাচন কমিশন ২৮ এপ্রিল ভোটারদের ভোটের অধিকার কিভাবে সংরক্ষন করবে এটাই এখন প্রশ্ন। জাতিসংঘের মহাসচিব বানকিমুন বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সহিংসতা হিসাবে অবহিত করায় জনমনে আশংকা দেখা দিয়েছে। সংকট আরো গভীর হতে পারে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর কলাগাছ দিয়ে ঘর বানানো এককথা হলেও বানকি মুন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তে তিনি আশান্বিত হয়েছেন। নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ অংশগ্রহণ মূলক ও বিশ্বাসযোগ্য হয় তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো;দেশের নাগরিক হিসাবে নিজেদের স্বচ্ছ রাখতে পারে নাই বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকার সমর্থিত প্রার্থীর প্রতিপক্ষদের রাজনৈতিক মামলায় হয়রানী করায় নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে বলে ভোটাররা আস্থা রাখতে পারছে না।  তাদের দারী সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতাসহ মোতায়ন করতে কালক্ষেপন করা ঠিক হবে না। নির্বাচন কমিশন বিরোধীদলের মনোনীত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট কোন কেন্দ্রে  অনুপস্থিত থাকলে সে কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা। বিরোধীদলের পোলিং এজেন্টদের  স্বাক্ষরীত প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল পেপারে রাখা বাধ্যতামূলক। বিরোধীদলের সকল পোলিং এজেন্ট এর নিরপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ। আমজনতার আশংকা ১৯৭৩ কে হারমানিয়ে ২০১৪, ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৫ই জানুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচনের লজ্জার মতো বিষয় যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য ভোটারদের এরকম পরামর্শ। কারণ নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ এখন পর্যন্ত সে বিশ্বাস জনগনের কাছে অর্জন করতে পারে নাই।