Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন

অক্টোবর ১, ২০১৫, ০৬:৪২ এএম


জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন



সম্প্রীতিময় এই বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের সহিংস বা সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডই আমাদের শান্তিপ্রিয় ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে ক্ষত সৃষ্টি করে, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। সঙ্গত কারণেই যেকোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা রোধ করতে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনবে এমনটি প্রত্যাশিত।


সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে যে, রাজধানীর গুলশানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তাভেলা সিসারো নামের এক ইতালীয় নাগরিক খুন হয়েছেন। তিনি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এনজিও আইসিসিওবিডির প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং বারিধারায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সদস্য ছিলেন। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের মাত্র ৫-৬শ গজ দূরে এ হত্যাকা- ঘটে। যদিও চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর কূটনীতিকপাড়াসহ আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এ ধরনের খুনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এরকম ঘটনা ঘটতে থাকলে তা দেশের সুনামকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। গুলশান থানার ওসি জানিয়েছেন, নিহত তাভেলা সিসারো সড়কে জগিং করছিলেন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করে। এরপর এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আমরা মনে করি, এই ঘটনাটি উদ্বেগের এবং সার্বিক অর্থেই উৎকণ্ঠার জন্ম দেয়। কেননা একজন বিদেশি জগিং করার সময় গুলিবিদ্ধ হবে, মৃত্যুর মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটবেথ এমন বর্বরতা এই দেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি সহনশীলভাবে একে অপরের সঙ্গে বসবাসের সংস্কৃতি। ফলে কোনো প্রকার চক্রান্ত কিংবা দুর্বৃত্তপনার কাছে তা নষ্ট হতে পারে না। সঙ্গত কারণেই এ হত্যাকা-ের ঘটনাকে সহজ করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে দুর্বৃত্তরা নানা ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চেষ্টা করেছে। দিনে দুপুরে খুন করেছে। ফলে পুরো বিষয়গুলোকেই আমলে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেন এমন বর্বরতার পুনরাবৃত্তি রোধ হয়। এটা বলা দরকার যে, পুলিশ সংশ্লিষ্টরা এই খুনের ধরন দেখে পরিকল্পিত হত্যাকা-ই মনে করছেন। আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব খুনিদের গ্রেপ্তার করে ঘটনার নেপথ্যের কারণও খতিয়ে দেখা হোক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে ২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে কূটনীতিকপাড়া গুলশানে সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী নিজ বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ফলে এভাবে খুনের ঘটনা ঘটতে থাকলে তা সার্বিক অর্থেই নেতিবাচক প্রভাবই ফেলবে, যা অত্যন্ত আশংকার। আরো বেশি উদ্বেগের বিষয় হলো, এই খুনের ঘটনা এমন সময়ে ঘটল, যখন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের অনিশ্চয়তার ঘোর কাটেনি। ফলে এর মধ্যই রাজধানীতে একজন বিদেশি নাগরিকের খুন হওয়ার ঘটনা কতটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বিষয়। যদিও এ হত্যাকা-কে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবু আমরা বলতে চাই, এই হত্যাকা-কে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই।


সর্বোপরি সরকারকে বলতে চাই, বিভিন্ন সময়ের হত্যাকা- এবং উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতারের বিষয়গুলোও পত্রপত্রিকায় এসেছে। ফলে সার্বিকভাবে এগুলোও আমলে নিয়ে কোনো উগ্র সংগঠনের সঙ্গে এ খুনের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে যে, এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ কোনোভাবেই দুর্বৃত্তদের আখড়া হতে পারে না। কিছু দুর্বৃত্তদের অপকর্মে দেশ ও মানুষের সম্মান বিনষ্ট হবে, চলতে থাকবে সার্বক্ষণিক উৎকণ্ঠা এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আমরা চাই, সরকার এবারের হত্যাকা-ের পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে অপরাধীদের শনাক্ত করুক এবং এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক যেন দুর্বৃত্তরা এরকম বর্বর এবং অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটানোর সাহস পর্যন্ত করতে না পারে। আমরা প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশের যে সম্প্রীতি, একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাসের যে সংস্কৃতি, তা অক্ষুণœ থাকবে। একই সঙ্গে যেকোনো ধরনের হত্যাকা- কিংবা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে কোনো প্রকার দ্বিধা করবে না।ইতালীয় নাগরিক খুনজড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিনসম্প্রীতিময় এই বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের সহিংস বা সন্ত্রাসমূলক কর্মকা-ই আমাদের শান্তিপ্রিয় ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে ক্ষত সৃষ্টি করে, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। সঙ্গত কারণেই যেকোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা রোধ করতে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনবে এমনটি প্রত্যাশিত।
সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে যে, রাজধানীর গুলশানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তাভেলা সিসারো নামের এক ইতালীয় নাগরিক খুন হয়েছেন। তিনি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এনজিও আইসিসিওবিডির প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং বারিধারায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সদস্য ছিলেন। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের মাত্র ৫-৬শ গজ দূরে এ হত্যাকা- ঘটে। যদিও চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর কূটনীতিকপাড়াসহ আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এ ধরনের খুনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এরকম ঘটনা ঘটতে থাকলে তা দেশের সুনামকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। গুলশান থানার ওসি জানিয়েছেন, নিহত তাভেলা সিসারো সড়কে জগিং করছিলেন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করে। এরপর এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আমরা মনে করি, এই ঘটনাটি উদ্বেগের এবং সার্বিক অর্থেই উৎকণ্ঠার জন্ম দেয়। কেননা একজন বিদেশি জগিং করার সময় গুলিবিদ্ধ হবে, মৃত্যুর মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটবেথ এমন বর্বরতা এই দেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি সহনশীলভাবে একে অপরের সঙ্গে বসবাসের সংস্কৃতি। ফলে কোনো প্রকার চক্রান্ত কিংবা দুর্বৃত্তপনার কাছে তা নষ্ট হতে পারে না। সঙ্গত কারণেই এ হত্যাকা-ের ঘটনাকে সহজ করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে দুর্বৃত্তরা নানা ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চেষ্টা করেছে। দিনে দুপুরে খুন করেছে। ফলে পুরো বিষয়গুলোকেই আমলে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেন এমন বর্বরতার পুনরাবৃত্তি রোধ হয়। এটা বলা দরকার যে, পুলিশ সংশ্লিষ্টরা এই খুনের ধরন দেখে পরিকল্পিত হত্যাকা-ই মনে করছেন। আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব খুনিদের গ্রেপ্তার করে ঘটনার নেপথ্যের কারণও খতিয়ে দেখা হোক।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে ২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে কূটনীতিকপাড়া গুলশানে সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী নিজ বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ফলে এভাবে খুনের ঘটনা ঘটতে থাকলে তা সার্বিক অর্থেই নেতিবাচক প্রভাবই ফেলবে, যা অত্যন্ত আশংকার। আরো বেশি উদ্বেগের বিষয় হলো, এই খুনের ঘটনা এমন সময়ে ঘটল, যখন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের অনিশ্চয়তার ঘোর কাটেনি। ফলে এর মধ্যই রাজধানীতে একজন বিদেশি নাগরিকের খুন হওয়ার ঘটনা কতটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বিষয়। যদিও এ হত্যাকা-কে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবু আমরা বলতে চাই, এই হত্যাকা-কে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই।


সর্বোপরি সরকারকে বলতে চাই, বিভিন্ন সময়ের হত্যাকা- এবং উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতারের বিষয়গুলোও পত্রপত্রিকায় এসেছে। ফলে সার্বিকভাবে এগুলোও আমলে নিয়ে কোনো উগ্র সংগঠনের সঙ্গে এ খুনের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে যে, এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ কোনোভাবেই দুর্বৃত্তদের আখড়া হতে পারে না। কিছু দুর্বৃত্তদের অপকর্মে দেশ ও মানুষের সম্মান বিনষ্ট হবে, চলতে থাকবে সার্বক্ষণিক উৎকণ্ঠা এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আমরা চাই, সরকার এবারের হত্যাকা-ের পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে অপরাধীদের শনাক্ত করুক এবং এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করুক যেন দুর্বৃত্তরা এরকম বর্বর এবং অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটানোর সাহস পর্যন্ত করতে না পারে। আমরা প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশের যে সম্প্রীতি, একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাসের যে সংস্কৃতি, তা অক্ষুণœ থাকবে। একই সঙ্গে যেকোনো ধরনের হত্যাকা- কিংবা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে কোনো প্রকার দ্বিধা করবে না।