Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫,

ব্রাইট ফিউচারের এমডিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত প্রতিবেদক

মে ২৮, ২০১৯, ১০:৫৩ এএম


ব্রাইট ফিউচারের এমডিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মামলায় আপসের কথা বলে আলোচনার জন্য ডেকে নিয়ে অন্ত:সত্তা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্র্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

আদালতের বিচারক মো. শরীফ উদ্দিনের মামলায় বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে উত্তরা পশ্চিম থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী শুভ্র সিনহা রনি এতথ্য জানিয়েছেন।

আসামিরা হলো, ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের এমডি রেজাউল ইসলাম সোহেল (৪০), পারভীন আক্তার (২৯), কাজী সামছুর রহমান (৪০) এবং হারুন অর রশিদ (৪০)।

মামলায় বাদীর অভিযোগ- রেজাউল ইসলাম সোহেলের সঙ্গে বাদীর ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে ৩ কাঠা প্লট ক্রয়ে মৌখিক চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক বাদী সোহেলকে ২৪ লাখ টাকা প্রদান করেন। ১৪ মাস পরে সোহেল চুক্তিটি বাতিল করে গার্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট থেকে একটি ফ্ল্যাট বাদীকে দেওয়ার লিখিত চুক্তি করেন। দুই বছর পরও সোহেল সেটা বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু করলে বাদী তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর কয়েকটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। এরপর এক সালিশে আসামি তার একটি প্রজেক্ট বিক্রি করে বাদীকে ৬৪ লাখ প্রদান করবেন বলে জানান এবং তার এক কর্মচারীর মাধ্যমে ৭ লাখ টাকার ছয়টি চেক বাদীকে দেন। চেক প্রদান করার পর আসামি বাদীকে বীমা চেক ও চুক্তিনামা ফেরত দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দেন বলে বাদী অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে আসামি হুমকি দেন। এরপর মামলায় তাকে আপসের প্রস্তাব দেন। আসামি পারভীন আক্তার আপসের বিষয়ে তাকে বোঝান এবং বলেন, তাকে অন্যত্র প্লট দেবেন। গত ২৪ এপ্রিল আসামিদের সাথে বাদীর মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বাদী আপসের কথা না মানলে সোহেল তাকে তার একান্ত রুমে নিয়ে আলাপ করেন। সোহেল বাদীকে বলে তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাকে জমি ফেরত দেবেন। সে রাজি না হলে বাদী অন্তঃসত্তা জানালেও পারভীনের সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করেন। বাদী দরজায় ধাক্কা মেরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে কাজী সামছুর রহমান এবং হারুন অর রশিদ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন এবং শ্লীলতাহানি করেন।

মামলা তুলে না নিলে এবং ধর্ষণের কথা কাউকে বললে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা। পরবর্তীতে বাদী থানায় যান মামলা করতে। থানা মামলা নিয়ে ঘোরাতে থাকায় তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বাদী মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

আরআর