নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৮:১৪ এএম
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আটক করেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
সেই গুঞ্জনে বলা হচ্ছে, গোয়েন্দারা রাজধানীর বনানী এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তাকে আটক করেছে। যদিও বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনী প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিষয়টি নিয়ে এখন দারুণ আলোচনা করছেন।
এদিকে, গোয়েন্দা সূত্রের খবর, যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট চলমান ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের শুরু থেকে তাদের নজরদারির মধ্যেই ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি।
ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছেও তাকে ফেরত আসতে হয়। পরে কাকরাইলে ভূঁইয়া ম্যানশনে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে টানা ছয় দিন অবস্থান করেন সম্রাট।
আর পাহারায় বসান নিজ দলের শতাধিক যুবককে। সেখান থেকে গত রোববার তিনি বনানীর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ গতকাল (শুক্রবার) সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, যুবলীগ নেতা সম্রাট ঢাকাতেই অবস্থান করছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর নজরদারির মধ্যেই আছেন। তাকে আটকের বিষয়টি এখনই প্রকাশযোগ্য নয়। সবুজ সংকেত পেলেই তার বিষয়টি প্রকাশ করা হবে।
এদিকে, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট আটক হয়েছেন কিনা তা অচিরেই জানতে পারবেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযানে কে কোন দল, কার কোন শক্তি, কে কোন ব্যক্তি এসব আমরা দেখছি না। অপরাধী যেই হোক, তাকেই আটক করা হচ্ছে। তবে সম্রাট আটক কিনা তা এখন নয়, অচিরেই জানতে পারবেন।
তবে সম্রাট আটকের (গুঞ্জন) সূত্রটি জানায়, যুবলীগের প্রভাবশালী এই নেতা গ্রেপ্তার এড়াতে ক্ষমতাসীন দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করে আসছিলেন। হাইকমান্ডের সঙ্গে তিনি দফায় দফায় কথাও বলেছেন। তার কাছ থেকে সুবিধা নেওয়া প্রভাবশালীচক্র এক্ষেত্রে মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দলের হাইকমান্ড থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই সম্রাটকে আটকের সিদ্ধান্ত নেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তবে গুঞ্জনে এও বলা হচ্ছে, সম্রাট আটক হওয়ার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ দক্ষিণের নেতা আরমানুল হক আরমান, মোমিনুল হক সাঈদ ওরফে সাঈদ, সম্রাটের ভাই বাদল, জুয়াড়ি খোরশেদ আলমসহ আরো অনেকে। তাদেরও আটক করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জেডআই