নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১, ০৭:৫০ এএম
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নে নিরীহ ব্যক্তি সুরুজ আলীর জায়গার সীমানা ঘেষে ড্রেজার মেশিনে গভীর পুকুর খননে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজগাতী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াফিজ উদ্দিনের পুত্র সুরুজ আলী ৫ বৎসর পূর্বে তার বাড়ির আঙ্গিনায় একই গ্রামের মৃত আমজদ আলীর পুত্র নুরুল ইসলামের নিকট থেকে সাফকাওলা মুলে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নুরুল ইসলাম উক্ত ভূমি যে কোন উপায়ে পুন:উদ্বার করার জন্য জবর দখলের চেষ্টা সহ নিরীহ ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন সুরুজ আলী।
একপর্যায়ে দেড় মাস পূর্বে নুরুল ইসলাম ও তার পুত্র লিমন মিয়া সুরুজ আলীর ক্রয়কৃত ভূমির সীমানা ঘেষে কোন পাড় না রেখেই ড্রেজার মেশিন চালিয়ে প্রায় ২০ ফুট গভীর গর্তের পুকুর খনন করেছে। এতে করে সুরুজ আলীর ভূমির মাটি উক্ত পুকুরে ধ্বসে পড়ছে।
এ বিষয়ে নিরীহ ব্যক্তি সুরুজ আলী জানান, উক্ত পুকুর খননে বাধা নিষেধ করেছি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার চেয়েও এর কোন সুরাহা পায়নি। তারা স্থানীয় দেনদরবার মানে না। পরে সুরুজ আলী বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সরজমিনে ড্রেজার মেশিনে উক্ত পুকুর খননের সততা পাওয়া গেলে পুলিশ পরিদর্শক এসআই আলমগীর হোসেন নুরুল ইসলামকে ড্রেজার মেশিনে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়ে আসেন। কিন্তু পরবর্তীতে সে পুনরায় দ্রুত মাটি খনন শুরু করে পুকুরে পানি দিয়ে ভর্তি করে দেয় এবং উক্ত ৫শতাংশ ভূমিতে সুরুজ আলীকে প্রবেশে বাধা নিষেধ করে। বর্তমানে সুরুজ আলীর পরিবার উক্ত বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
বিবাদীপক্ষ নুরুল ইসলাম ড্রেজার মেশিনে পুকুর খননের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুকন উদ্দিন জানান, বিষয়টি একাধিকবার ফয়সালার চেষ্টা করা হলেও বিবাদী নুরুল ইসলাম ও পুত্র লিমন মিয়ার একগুয়েমির জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না।
আমারসংবাদ/কেএস