Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

সিপিডির প্রতিক্রিয়া ‘আন্দাজের উপর’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

আগস্ট ১৭, ২০২০, ০৩:১৭ পিএম


সিপিডির প্রতিক্রিয়া ‘আন্দাজের উপর’

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যে প্রবৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করেছে সেটা কোন হিসাব ছাড়াই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল । এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ‘আন্দাজের উপর’ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সিপিডি গত ১০ বছরে আমাদের তথ্য-উপাত্ত কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা বাজেট দিলেই তাদের একটা অনুষ্ঠান করার সময় এসে যায়। তাদের তথ্য আন্দাজনির্ভর।

সোমবার চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায় পরিকল্পনা ও বিবিধ সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভাশেষে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুন মুনিম এবং অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশের ৫.২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির সাময়িক হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিপিডি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলে, সরকার রাজনৈতিক সাফল্য দেখাতে প্রবৃদ্ধি ফাঁপিয়ে দেখাচ্ছে।

সাংবাদিকরা তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে খাল, বিল, নদী, নালা, রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব কিছু দেখলে বোঝা যাবে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় আছে। কারও বিরুদ্ধে বলতে চাই না। একটা কথাই বলি, জিডিপি হিসাব যিনি বের করেন বা তৈরি করেন, তাকে একটি ভিত্তির উপর নির্ভর করতে হয়, হয় অনুমান আর না হলে তথ্য উপাত্ত।

“আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো যে ভিত্তির উপর নির্ভরশীল, সেটি হল তথ্য উপাত্ত।

সিপিডি যদি কোনো আন্দাজ ভিত্তিক কোনো জিডিপি নিয়ে কথা বলে, তাহলে কতটা গ্রহণযোগ্য তা আপনাই নিজেরাই বুঝতে পারেন।”

মুস্তফা কামাল বলেন, “গত ১০ বছরে তাদেরকে আমরা দেখেছি একটি জায়গায় তারা আমাদের এসব (তথ্য) কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে। আমরা বাজেট দিলেই তাদের অনুষ্ঠান করার সময় এসে যায়। সারা বছর কোন অনুষ্ঠান করে না, কাঁচামাল এখান থেকে নিয়ে বিদেশে এক্সপোর্ট করে। এগুলো তাদের ব্যবসা, সহজ ব্যবসা।

“তাদের কাছে তথ্য কোথায় আছে, কোন তথ্য তারা রাখে, কিসের ভিত্তিতে তারা বলে। আন্দাজ করে বললেও তো ওনারা কি রাস্তা ঘাট দেখে না? পাওয়ার প্ল্যান্ট, মেগা প্রকল্পগুলো দেখে না?”

গত বছরগুলোর রাজস্ব আয়ের তথ্য তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রাজস্বের দিকে তাকান ২০১৮-১৯ সাল শক্তিশালী বছর ছিল, করোনাভাইরাস আক্রান্তকালে দুই লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছি আগের বছরের তুলনায় ৫ হাজার কোটি টাকা কম। এর থেকেও বোঝা যায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি কত হওয়া উচিৎ।”

তিনি বলেন, “আমি যদি ৮.২ ভাগ বলতাম, যেটা আমাদের আগের প্রজেকশন ছিল, তাইলে উনারা বলতে পারতেন, এখানে কিভাবে হল? ৫.২ ভাগ বলেছি। সুতরাং এ বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না। তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এ নম্বরগুলো দিই।” তবে সিপিডি আছে বলে বেশি ‘অনুপ্রাণিত’ হওয়া যায় বলেও মন্তব্য করেন মুস্তফা কামাল।

“তাদের বিরুদ্ধে আমি কিছু বলব না, তারা আছে বলেই আমরা আরো বেশি অনুপ্রাণিত হই, আমরা করে প্রমাণ করার চেষ্টা করি। যখন যা বলেছি তখন তা সঠিক হয়েছে। এরা কী বললো তা দেখে লাভ নাই।”

সিপিডি আন্দাজের উপর কথা বলছে- এ কথাটি যথার্থ হল কি না- এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি যা বলছি যথার্থ। ওদেরকে বলেন তাহলে কত হবে, আমাদের এক বছরের জিডিপি বের করে দিতে বলেন এবং তারা আমাদের পরিসংখ্যান অফিস যেতে পারবে না। তারা নিজেরা পরিসংখ্যান দিক… ঠিক আছে।”

তিনি বলেন, “সিপিডি সিপিডির কাজ করবে, আমাদের কাজ আমাদের করতে হবে। আমরা কাজ করছি আপনারা বিশ্বাস করবেন না, বিশ্বাস করবেন এটা আপনাদের ব্যাপার। আমাদের হিসাব যে সঠিক, সেটা সারা বিশ্ব স্বীকার করে। সিপিডি স্বীকার না করলে অসুবিধা নাই।”

আমারসংবাদ/এমআর