Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

খাতুনগঞ্জে দাম কমেছে হলুদের

প্রিন্ট সংস্করণ॥অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৫, ২০১৯, ০৭:১৩ পিএম


খাতুনগঞ্জে দাম কমেছে হলুদের

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন মৌসুমের দেশি হলুদ। এতে সরবরাহ বাড়ায় ভোগ্যপণ্যের বাজারে মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) দেশী হলুদের দাম ৫৫০ টাকার বেশি কমেছে। এ কারণে আমদানি হওয়া ভারতীয় হলুদের দামও নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ দেশি শুকনা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৩০ থেকে ৪ হাজার ১০০ টাকায়। ১৫ দিন আগে একই হলুদ সর্বনিম্ন ৪ হাজার ৬৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এ হিসাবে পণ্যটির দাম মণপ্রতি অন্তত ৫৬৫ টাকা কমেছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দেশীয় হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। ১৫ দিন আগে একই হলুদ ১২৫ টাকারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ কেজিপ্রতি দেশী হলুদের দাম অন্তত ১৫ টাকা কমেছে। মোহাম্মদ আবদুর রহিম নামের এক মসলা ব্যবসায়ী জানান, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি দেশের অন্যতম প্রধান হলুদ উৎপাদন অঞ্চল। এসব জেলা থেকে দুই-তিন সপ্তাহ ধরে শুকনা হলুদ বাজারে আসতে শুরু করেছে। এতে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, বছরের এ সময়ে হলুদের দাম কমে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতি বছরই এমনটি ঘটে। এদিকে দেশি হলুদের বাড়তি সরবরাহের প্রভাব পড়েছে দীর্ঘদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা ভারতীয় হলুদের দামেও। ব্যবসায়ীরা জানান, টানা পাঁচ-ছয় মাস ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও দেশী হলুদের সরবরাহ চাপে ভারতীয় হলুদের দাম কমতে শুরু করেছে। গত ১৫ দিনে আমদানি হওয়া হলুদের দাম প্রতি মণে কমপক্ষে ১৮০ টাকা কমেছে। তারা জানান, বর্তমানে আমদানিকৃত ভারতীয় হলুদ মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮৪০ টাকায়। ১৫ দিন আগে এ হলুদ বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৩০ টাকারও বেশি দামে। বর্তমানে পাইকারিতে প্রতি কেজি ভারতীয় হলুদ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০৩ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০৮ টাকা।খাতুনগঞ্জের মসলা ব্যবসায়ী ও গাউছিয়া স্টোরের স্বত্বাধিকারী জাহেদুল কবির বণিক বার্তাকে বলেন, ভারতীয় হলুদের চেয়ে দেশী হলুদের কদর বেশি। এ কারণে নতুন মৌসুমের দেশী হলুদ বাজারে আসায় ভারতীয় হলুদের চাহিদা কিছুটা কমেছে। আবার দেশীয় হলুদের দাম কমতে থাকায় ভারতীয় হলুদের বিক্রিও কমেছে। এতে দীর্ঘদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর ভারতীয় হলুদের দাম কমতে শুরু করেছে। পাইকারি পর্যায়ে গত ১৫ দিনে প্রতি কেজি ভারতীয় হলুদের দাম ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দেশী ও ভারতীয় হলুদের দামের পার্থক্য সম্পর্কে আরেক মসলা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, ভারতীয় হলুদ আকারে বড় ও দেখতে সুন্দর। কিন্তু ভারতীয় হলুদের তুলনায় দেশীয় হলুদ স্বাদে ও মানে অনেক ভালো। এ কারণে সচেতন ভোক্তাদের কাছে দেশী হলুদের কদর বেশি। তবে মাঝে মাঝে সরবরাহ কমে গেলে ভারতীয় হলুদের দাম দেশী হলুদের চেয়ে বেশি হয়। এখন অবশ্য দেশী হলুদের দাম বেশি। এতে দেশীয় হলুদ উৎপাদকরা উপকৃত হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর এপ্রিলে পার্বত্য চট্টগ্রামে হলুদ আবাদের কাজ শুরু হয়, যা উত্তোলন করা হয় নভেম্বরে। উত্তোলন করা কাঁচা হলুদ সিদ্ধ করার পর শুকিয়ে বাজারজাত করা হয়।