Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটার চাহিদা

জুন ১০, ২০২১, ১০:১০ এএম


বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটার চাহিদা

করোনায় মানুষের আয় কমেছে হাজারো মানুষের। আয় কমলেও করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে অনলাইনে কেনাকাটার চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল ও ধনী পরিবারগুলোর মধ্যে অনলাইনে পোশাক, খাবার-দাবার থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ঘরে বসে অনলাইন থেকে কিনতেও তোড়জোড় দেখা দিচ্ছে। শুধু ধনী পরিবারই নয় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও অনলাইনে কেনাকাটার দিকে ঝুকছেন। 

বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে এর চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। করোনায় স্বাস্থ্যঝুকির কথা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য বাজারে না গিয়ে ঘরে বসেই অর্ডার করতে পারছেন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ নিজের ও পরিবারের সুরক্ষায় কেনাকাটা সারতে ঢুঁ মারছেন ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেসে। এমন সুযোগ সুষ্টি হওয়াতে অতিরিক্ত কিছুটা অর্থ ব্যয় হলেও একদিকে যেমন সময় বাঁচে আরেকদিকে হাতের নাগালেই সকল কিছু পণ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে খুশি ক্রেতা ও বিক্রেতারা। 

অনলাইন বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্নিষ্টরা জানাচ্ছেন, শুধু বাড়ছে না, ধারণার চাইতেও বেশি হারে বাড়ছে। ক্রেতার ক্রয় চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এক বছর আগের তুলনায় বিভিন্ন ব্র্যান্ড শপের অনলাইন বিক্রি ৫ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। এ কারণে কোনো পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট পণ্যের ক্রয় আদেশ নিয়েও ডেলিভারি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

রুবায়েত জাহান, রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসিন্ধা। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি অনলাইনে কেনাকাটার সাথে জড়িত তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাহিরে যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আবার যানজটের একটা বিষয় তো আছেই তাই বাধ্যহয়ে অনলাইনেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হয়। এতে সময়  বেঁচে যায়। তবে মাঝে মাঝেই আশানুরোপ সেবা পাওয়া যায় না। যার ফলে একটা অনিশ্চয়তা থেকে যায়। যদি সেবার মান আরো বৃদ্ধি করা যায় তাহলে অনলাইনে কেনাকাটা করা স্থায়ী করবো।

হাসান রাফি নামের আরেক ক্রেতা বলেন, অনলাইনে কেনাকাটা এখন হাতের নাগালে হয়েছে। ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছি কিন্তু প্রায় সময়ই দেড়িতে পণ্য পাওয়া যায় আবার নিম্ন মানের পণ্য ও আসে। যা ক্রেতাদের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর। সময় বাচাঁতে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে পণ্য কেনার পর ভালোটাই আশা করি। তবে এখন অনলাইনে কেনাকাটা করা হলো ঝামেলা মুক্ত এবং এর চাহিদা বাড়ছে।  

অনলাইন মার্কেটপ্লেস আজকের ডিলের সিইও ফাহিম মাশরুর জানান, বর্তমানে ই-কমার্স বাজারের আকার বছরে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার। গড়ে প্রতিদিন এক লাখ ক্রেতা অনলাইনে নানা পণ্যের অর্ডার করছেন। অনলাইন মার্কেটের ক্রেতাসংখ্যা কম করে হলেও ৩০ লাখ, যা দুই বছর আগের তুলনায় আড়াই থেকে তিন গুণ। লকডাউনে এ সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। দেশে এখন দুই হাজারের বেশি ই-কমার্স সাইট এবং অর্ধলাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উদ্যোক্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে পণ্য বিক্রি করছেন।

ফাহিম জানান, অনলাইন বাজারের ব্যাপ্তি সীমাহীন। পোশাক থেকে প্রসাধনীর মতো সব পণ্য কিনতে এখন শহরে আসার প্রয়োজন নেই। এখন গ্রামে বসেই পাচ্ছেন ঢাকার সব ব্র্যান্ড শপের পণ্য। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে।

আমারসংবাদ/জেআই