Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা তুলতে পারবেন এসএমই উদ্যোক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১, ০৭:৫০ এএম


পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা তুলতে পারবেন এসএমই উদ্যোক্তারা

ব্যবসার প্রয়োজনে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবেন দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। সর্বনিম্ন ৫ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করতে পারবেন তারা। 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ দিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ‘ডিএসই এসএমই’ প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসএমই খাতভুক্ত কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ২০১৮-এর আওতায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজার থেকে মূলধন আহরণের সুযোগ সৃষ্টিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

সোমবার রাজধানীর ডিএসই টাওয়ারে এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান।

ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে ৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের সুযোগ থাকলেও এসএমই’র সংজ্ঞা পরিবর্তন হলে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ভারতের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৬০ শতাংশ, চীন ও জাপানে প্রায় ৭০ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে মাত্র ২৫ শতাংশ। এই হার বাড়াতে উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে ফাউন্ডেশন।

তিনি বলেন, দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের অন্যতম বড় সমস্যা পুঁজি সংকট। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বছরে এ খাতে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হলেও প্রকৃত চাহিদা অন্তত তিনগুণ বা ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো। সেই সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ করে দিতেই বিধিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।

ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দুই দফায় প্যাকেজ ঘোষণা করলেও নানা জটিলতায় বেশিরভাগ উদ্যোক্তা তার সুফল পাননি। সেক্ষেত্রে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারা তাদের জন্য একটা বড় সুযোগ। কারণ দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জায়গা হচ্ছে পুঁজিবাজার। তাই ব্যাংকে না গিয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে তিনি এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিন বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে বেশকিছু কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর মধ্যে রয়েছে-

১. এসএমই খাতের উন্নয়নে যৌথ গবেষণা পরিচালনা ও পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়।

২. পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের বিষয়ে এসএমই উদ্যোক্তাদের অবহিতকরণের উদ্দেশ্যে যৌথ প্রচারণা।  যৌথ উদ্যোগে সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন।

৩. এসএমই ফাউন্ডেশন পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনে আগ্রহী ও যোগ্য উদ্যোক্তাদের তালিকা সরবরাহ করা।

৪. এসএমই খাতের উন্নয়নে পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়।

৫. সবুজ অর্থনীতি বা পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের জন্য পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়।

৬. উদ্যোক্তাদের পণ্য বাজারজাতকরণে ধারণা প্রদান করবে এবং উভয় পক্ষ প্রযুক্তি উন্নয়ন বিষয়ে পারস্পরিক তথ্য বিনিময় করবে এসএমই ফাউন্ডেশন।


আমারসংবাদ/ইএফ