নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, ০৬:৪০ এএম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুঁজিবাজার নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়িয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে একটি চক্র। শেয়ারের দর বাড়া-কমা নিয়ে নানান ধরণের বিভ্রান্তমূলক পোষ্ট দিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করছে এই চক্রগুলো। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই মধ্যে বিটিআরসির সাহায্য নিয়ে ৩১টি ফেসবুক পেজ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির প্রতিনিধিদের মধ্যে ‘সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শেয়ারবাজারে গুজব সৃষ্টি প্রতিরোধ’ সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব রটনাকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে চলতি বছরের ২৪ মে তদন্ত কমিটি গঠন করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির পরিচালক রাজিব আহমেদের নেতৃত্বে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ডিএসই ইনভেস্টরস ক্লাব, উই ওয়ান্ট টু বি গেইনার, দ্য থার্ড আই, শেয়ারবাজার- ডিএসই ইনভেস্টরস ক্লাব, পাবলিক বিজনেস ক্লাব, শেয়ার মার্কেট সুপারস্টার গ্রুপ, দ্য লয়াল ক্লাব, শেয়ার বাজারে আড্ডা, রাকিব প্রফিট অ্যান্ড জয়, শেয়ারবাজার জিন্দাবাদ, স্টক মার্কেট টুডে, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জোট, রকস্টার ক্লাব, রয়্যাল কিং মানি মেকারস, বাদশা জোন ইত্যাদি ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ও পেজ গুজব ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন সিকিউরিটিজের বাজারমূল্যকে কৃত্রিমভাবে প্রভাবিত করছে বলে উঠে আসে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তির আইডি নিষ্ক্রিয়করণের উদ্যোগে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ভবিষ্যতে তা আরও কার্যকর ও সমন্বিতভাবে করা হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসির কর্মকর্তারা।
আমারসংবাদ/জেআই