Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ল্যাব তৈরির নামে জবি’র প্রাণীবিদ্যা বিভাগে অতিরিক্ত ফি আদায়

এপ্রিল ৬, ২০১৫, ০৩:০৯ পিএম


ল্যাব তৈরির নামে জবি’র প্রাণীবিদ্যা বিভাগে অতিরিক্ত ফি আদায়

 জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) ভর্তির নির্ধারিত ফি আদায়ের খাত ছাড়াও অন্য একটি বাড়তি খাত দেখিয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, জবি’র প্রাণীবিদ্যা বিভাগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘গবেষণার উন্নয়ন ও কম্পিউটার ল্যাব তৈরি’র অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে।

 বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, গবেষণার উন্নয়ন ও কম্পিউটার ল্যাব তৈরির নামে গত ৯ ফেব্রুয়রি বিভাগের ৭৮ তম একাডেমিক কমিটির সভায় প্রত্যেক সেমিস্টারে ভর্তির সময় প্রত্যেক শিার্থীর কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফি আদায়ের খাত ছাড়া অতিরিক্ত ২৫০ টাকা আদায় করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। অতিরিক্ত এ ফি বিভাগের ‘ল্যাব ফি জমা’ রশিদের মাধ্যমে আদায় করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিভাগীয় সূত্রে আরও জানা যায়, একাডেমিক কমিটির সভায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের সিদ্ধান্ত বৈধতা দেওয়া জন্য একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের বরাবর অবেদন করা হয়। বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয়, অতিরিক্ত এ ফি আদায়ের জন্য বিভাগের বিভিন্ন শিার্থীদের কাছ থেকে একটি দরখাস্ত আদায় করা হয়েছে।

এছাড়া আবেদন পত্রের সাথে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত দরখাস্ত ও বিভাগীয় কমিটির সভার সুপারিশের ব্যাপারটি সংযুক্ত করা হয়। অতিরিক্ত এ ফি আদায়ের ব্যাপারটি অনুমতি না দিয়ে উপাচার্য বিভাগীয় সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন পত্রটি  পুনরায় প্রেরণ করেন। এর পরও বিভাগের ৭৮ তম সভার সিদ্ধন্তটিই বহাল রাখা হয়।

এদিকে অতিরিক্ত এ ফি আদায়ের ব্যাপারটি বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভাগের এক শিার্থী বলেন, তাদের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই এ ফি আদায় করা হচ্ছে। শিার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত গ্রহণের ব্যাপারটি বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ১০ম ব্যাচের (২০১৪-১৫ শিাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় বিভাগের পক্ষ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া আর কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয় নি। বিষয়টি টের পেয়ে গেলে অন্যান্য কোন ব্যাচের শিক্ষার্থীর এতে স্বাক্ষর করেনি। এ ব্যাপারে জানতে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।