Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

ক্লাস বর্জনের ২ মাসেও পূর্বের ঘোষণায় অটল নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি 

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি 

নভেম্বর ২৯, ২০২০, ০২:৩৫ পিএম


ক্লাস বর্জনের ২ মাসেও পূর্বের ঘোষণায় অটল নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি 

নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে ২ মাসের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনেও সমাধান পায়নি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। ২ মাস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে সারাদেশে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যাহত হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে সেশনজটসহ নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে সম্মতি জানান। পরবর্তীতে ৩০ জুন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রথমদিকে অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে পুর্নাঙ্গ ধারণা না থাকায় শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। পরবর্তীতে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ অনুসারে অনলাইনে ক্লাস শুরু হলো এর কয়েকমাস না যেতেই নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। কিন্তু এই অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা ২ মাস পেরিয়ে যাবে এটা কখনোই ধারণা ছিলো না। 

শিক্ষার্থীদের দাবি, যেকোনো ভাবেই হোক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেমিস্টার সম্পন্ন করতে হবে। সেমিস্টারের সময়সীমা কমিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সেমিস্টার সম্পন্ন করে ডিগ্রির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া যারা অনার্স ও মাস্টার্স এর শেষ সেমিস্টারে আটকে আছেন তাদেরকে পরীক্ষা নিয়ে সেমিস্টার সম্পন্ন করতে হবে।

ফার্মেসী ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার মনে হয় অনেক শিক্ষকই ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে ক্লাসে ফিরতে চাচ্ছেন। কিন্তু শিক্ষক সমিতির অনির্দিষ্টকালের ঘোষণার কারণে যেতে পারছেন না। এতগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা জীবন জিম্মি করে রেখে দাবি আদায় কখনো যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। নিজেদেরকে এখন জিম্মি দশায় আটক বন্দী মনে হচ্ছে। আটককারীদের ভাবনা হচ্ছে, যদি মন্ত্রণালয় মেনে নেয় তবেই আমাদের মুক্তি মিলবে নয়তো আমাদেরকে এভাবে বন্দী থাকা লাগবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন উঠাতে আমি কয়েকবার শিক্ষক সমিতির সাথে বৈঠক করছি। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আশা করি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। 

নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, শিক্ষক নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা সমাধান হলেই আমরা নতুন সিদ্ধান্তে যাবো। এখন পর্যন্ত আমরা পূর্বের সিদ্ধান্তে অবস্থান করছি। যেহেতু সবকিছু অনলাইনেই তাই পরবর্তীতে ক্লাস বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে।

আমারসংবাদ/কেএস