মিজানুর রহমান, চবি
ডিসেম্বর ৩, ২০২০, ১১:১০ এএম
কেউ মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকলেও নাক ঢাকেনি। আবার কেউ দুই কানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে মাস্ক। ঢাকেনি মুখ ও নাক। আবার কেউ মাস্ক রেখেছে পকেটে।
এই চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন স্থানে। করোনার প্রকোপ বাড়লেও এই বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বাড়েনি সচেতনতা। বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে মানছে না স্বাস্থ্যবিধি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের সামনে নির্দেশনা দেওয়া আছে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’। কিন্তু ভেতরে গিয়ে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।
জানা গেছে, করোনায় মার্চের শুরু থেকে বন্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বন্ধ করে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলোও। তবে ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ হলেও স্বল্প পরিসরে চলছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। কিন্তু তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে লোক সমাগম।
দেশে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এসে শীতের শুরুতেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। দিন দিন সংক্রমণের মাত্রার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। তবুও স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা লোকজনের।
সরেজমিনে চবির প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তর, জিরো পয়েন্টে, কাটা পাহাড় লেন, রেল স্টেশন ঘুরে দেখা যায় অল্প সংখ্যক লোকের মুখে মাস্ক আছে।
এছাড়া কেউ মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকলেও নাক ঢাকেনি। আবার কেউ দুই কানের সাথে মাস্ক ঝুলালেও ঢাকেনি মুখ ও নাক। কেউবা কানে ঝুলিয়ে রেখেছেন মাস্ক। আবার কেউবা পকেটে রেখে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে একেকজন দিচ্ছেন একেকরকম অযুহাত।
করোনার ভ্যাকসিন বাজারে না আসা পর্যন্ত মাস্কই সংক্রমণ ঠেকানোর প্রধান উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই নভেম্বরের শুরু থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে মাস্ক ব্যবহারে সচেতন করতে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
করোনার প্রথম পর্যায়ে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আক্তার হারিয়েছেন তাঁর স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অবঃ) লতিফুল আলম চৌধুরীকে। এরপরও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এখনও ‘কার্যকর’ কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আতিকুর রহমান জানান, ‘করোনা মোকাবেলায় মাস্ক ব্যবহারে নিজেদেরকেই সতর্ক হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।
বিভিন্ন দপ্তরে নির্দেশনা জারি করে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এরপরও কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে নিজেরা সচেতন না হলে অভিযান চালিয়েও কোনো লাভ হবে না।'
আমারসংবাদ/এআই