হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২৫, ২০২১, ১০:০০ এএম
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানবন্ধন ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে একত্রিত হয় শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন ব্যানারে লেখা ছিলো, ‘পরীক্ষা চাই রুটিন দিন, নয়তো মুখে বিষ দিন’, ‘দাবি মোদের একটাই, অতিদ্রুত পরীক্ষা চাই ’, ‘পরীক্ষা চাই পরীক্ষা নিন, জট হতে মুক্তি দিন’।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা না নিলে আগামী এক সপ্তাহ পর লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেন।
জামিল মুরাদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে শেষবর্ষ পর্যন্ত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করতে পারে তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কেন পারবে না? আমাদের ১৭ ব্যাচের আইডি কার্ডের মেয়াদ শেষ! কিন্তু আমরা এখনো পঞ্চম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত! আর হতাশায় ভুগতে চাই না আমরা। হাবিপ্রবির ১৬ ব্যাচের পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে ১৭ ব্যাচের পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি’।
ইমরান হোসেন আকাশ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনেকবার প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোন সিদ্ধান্ত না পেয়ে আমরা হতাশ হয়ে পরেছি। শেষ বারের মতো আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে এসেছি যে ১৭ ব্যাচের পরীক্ষা না নিয়ে অন্য কোন ব্যাচের পরীক্ষা নেওয়া হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো। সেসনজটে আমরা জর্জরিত। পূর্বে স্মারক লিপি দিয়েও কোন লাভ হয়নি।’
পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরাও চাই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাক। কিন্তু ইউজিসি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছাড়া পরীক্ষা নেওয়া কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব নয়। করোনাকালীন সময়ে নতুন ভিসি না আসা পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি’।
সাত দিনের আল্টিমেটামের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। আন্দোলন করলেও আমাদের একাডেমির কাউন্সিল ছাড়া পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই’।
প্রসঙ্গত, এর আগে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
আমারসংবাদ/কেএস