Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫,

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের তালিকায় হাবিপ্রবির যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগ

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১, ০২:২০ পিএম


গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের তালিকায় হাবিপ্রবির যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগ

এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করেছে দেশের ২০ সাধারণ এবং বিজ্ঞান  ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এবারের আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের বাতিঘর হাবিপ্রবি। সুতরাং হাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা যন্ত্রকৌশল বিভাগে পড়তে হলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে শিক্ষার্থীদেরকে৷

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হলে আপনাকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হবে। কিন্তু সবার সেখানে সুযোগ মেলে না। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সিএসই, ইইই বিভাগ থাকলেও সব বিভাগের উপস্থিতি নেই এখানে। তাছাড়া কফি খেতে হলে রেস্টুরেন্টের চেয়ে কফিশপে যাওয়াটাই বেটার। কফিশপ মানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আর কফি মানে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। কিন্তু কফি যদি হয় বিশেষ ধরনের তবে তা সর্বত্র পাওয়া যাবে না এটাই স্বাভাবিক। বলছি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কথা।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০১৬ সালে হাবিপ্রবিতে এবং এর পরের বছর শাবিপ্রবিতে এই বিভাগ খোলা হয়। দুই-একটি বাদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই বিভাগে শিক্ষার্থী নেয়া হয় না ব্যয়বহুল ল্যাবের প্রয়োজন থাকে বলে। সেক্ষেত্রে  হাবিপ্রবিতে পূর্ণ প্রস্তুতি না নিয়েই এই বিভাগ খোলার কারণে যথারীতি ল্যাব সংকট, মাত্র দুজন শিক্ষক সহ নানান সমস্যা নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই বিভাগের। 

নিজ অনুষদের সামনে শিক্ষক ও ল্যাব সংকটের সমাধান চেয়ে অবস্থান কর্মসূচিও চালাতে হয়েছে এই বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আলোর পথে এখন এই বিভাগটি। শিক্ষক সংকট কেটে  গিয়েছে অনেকটা। দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষকদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের সাথে। ল্যাব সংকট সমাধানের জন্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনে এই বিভাগের জন্য করা হচ্ছে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি সংবলিত ল্যাব। আশাবাদী শিক্ষার্থীরা। 

এই বিভাগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসেন। এমনকি নেপালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়নরত আছেন। 

উল্লেখ্য, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন উত্তরবঙ্গের বাতিঘর হাবিপ্রবিতে। বিভাগটির সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক বরাবরের মতোই মধুর। জুনিয়রদের মানসিক সমস্যায় সিনিয়ররা অভিভাবকের ভূমিকায়, বিভিন্ন প্রজেক্টের সময় নির্দেশকের ভূমিকায় আর কোর্সের কোনো বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে সিনিয়রদের দেখতে পাওয়া যায় শিক্ষকের ভূমিকায়! নিজেদের বিভাগের পড়াশেনার বাইরেও নানান সংগঠনের সাথে জড়িয়ে থাকেন এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। যেমন, হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা, অর্ক, আইথ্রিপলইসহ সুপরিচিত সংগঠনের সাথে৷ 

সর্বোপরি, কেউ যদি জিগ্যেস করে 'হাবিপ্রবি'র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কেমন হবে? ' আমার কথা থাকবে, হাবিপ্রবির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হাবিপ্রবির সম্ভাবনাময় একটি বিভাগ। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সুযোগ না হলে এখানে সুযোগ নাও এবং এটা তোমার জন্য সান্ত্বনা পুরস্কারের ভূমিকা পালন করতে পারে!

আমারসংবাদ/কেএস