Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

ঢাবির আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণা জালিয়াতের অভিযোগ

ঢাবি প্রতিনিধি

মার্চ ৪, ২০২১, ০৩:০৫ পিএম


ঢাবির আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণা জালিয়াতের অভিযোগ

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের বিরুদ্ধে গবেষণা জালিয়াতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পর তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের কাছে দাবি জানিয়েছেন কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক। 

বুধবার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর তারা এই অভিযোগ দেন। অভিযোগের সাথে সাদেকা হালিম যে প্রবন্ধে 'চৌর্যবৃত্তির আশ্রয়' নিয়েছেন তার কয়েকটি কপিও সংযুক্ত করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা ড. সাদেকা হালিমের প্রকাশিত কিছু প্রবন্ধের প্লেজারিজম ধরা পড়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কয়েকদিন ধরে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো বাংলাদেশের শিক্ষায়তনিক পরিসরে দৃষ্টিগোচর হয়েছে, বিভিন্ন পরিসরে সেগুলো সমালোচনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। এতে দেশের অনেকেই উদ্বিগ্ন বলে মনে হয়েছে। অভিযোগপত্রে এই বিষয়টি সুরাহার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুশতাক আহমেদ বলেন, সাদেকা হালিমের গবেষণা চৌর্যবৃত্তির সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আমাদের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষকদের জন্য লজ্জার বিষয়। একজন শিক্ষক হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এই বিষয়টি জানিয়েছি। তার কাছে দাবি করেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বিষয়টি আমি এখনো জানি না। আমাকে ভিসি স্যার কিছু জানাননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখনো খুলে দেখিনি। আমি দেখবো।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি গবেষণা প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের পদাবনতি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুককেও একই শাস্তি দেওয়া হয়।

আমারসংবাদ/কেএস