Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪,

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে  ‘শতবর্ষে শত আশা’র উদ্বোধন 

পবিপ্রবি প্রতিনিধি

এপ্রিল ২, ২০২১, ১১:৪০ এএম


স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে  ‘শতবর্ষে শত আশা’র উদ্বোধন 

স্বাধীন বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ৫০ টি স্টার্টআপকে ১০০কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।

এ বছর বাংলাদেশ উদযাপন করছে মুজিব বর্ষ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। এই বিশেষ উপলক্ষকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানী স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ‘শতবর্ষে শত আশা’ উদ্বোধনের মাধ্যমে বিনিয়োগগ্রহণকারী স্টার্টআপসমূহের সর্বপ্রথম সিরিজের নাম
ঘোষণা করতে যাচ্ছে; যার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩১ মার্চ।

স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশ সরকারের ৫০০ কোটি টাকা অর্থায়নে প্রথম ও একমাত্র ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০২০ সালের মার্চে যাত্রা শুরু করে। এই বিশেষ তহবিলটি খরচ করা হবে প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনীতে, যাতে তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রোণিত করার পাশাপাশি নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি এবং লাখো মানুষের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। ৫০ টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান যারা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নকে মাথায় রেখে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে নতুন কাজের সুযাগ তৈরি করছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলাো কে সামগ্রিকভাবে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। অর্থনৈতিক মুক্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা বাস্তবায়নের একটি অংশ হিসেবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কাজ করে চলেছে তরুণদের প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবন ও উদ্যোগকে প্রাথমিক পর্যায়ে মূলধন, আর্থিক ও পরিচালনা মূলক দিকনির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে।

এছাড়াও প্রযুক্তি-নির্ভর এই ব্যবসা উদ্যোগগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড সীড ও গ্রোথ স্তজ কোম্পানি তে বিনিয়োগ করবে।

প্রথম সিরিজে বিনিয়োগ গ্রহণকারী সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে- পাঠাও, ঢাকা কাস্ট, মনের বন্ধু, চালডাল, এডুহাইভ, সেবা ডট এক্স ওয়াই জেড, এবং ইনটেলিজেন্ট মেশিনস। এই স্টার্আপগুলোকে সামগ্রিক ভাবে ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে তারা তাদের পণ্য বা সেবার মান উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি, বিপণন ও সাপ্লাই-চেইন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সাধন করতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিশেষ অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রিনসিপাল কো অরদীনাতর, জুয়েনা আজিজ, এছাড়াও সমম্মানিত অতিথি এন. এম. জিয়াউল আলম সিনিয়র সেক্রেটারি, আই সি টি ডিভিশন
ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মাননীয় চেয়ারপার্সন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর সম্মানিত বোর্ড মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক
‘শতবর্ষে  শত আশা’র শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। 

তিনি বলেন, এই কোম্পানির মাধ্যমে সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ জায়গা তৈরী করে দিয়েছে যেখানে তারা সমস্ত প্রকারের আর্থিক ও পরিচালনামূলক সহযাগিতা পেয়ে তাদের কার্যক্রমের পরিসর বৃদ্ধি করতে পারবে।

তিনি ঢাকা কাস্ট এর ফাউন্ডার ডা. ফাহরিন সম্পর্কে বলেন, ডা ফাহরিন আমাদের একজন তরুণ ও সফল নারী উদ্দোক্তা। তার যে আত্মবিশ্বাস ও পজিটিভ মাইন্ডসেট, যা আমাদের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে এবং একইসাথে আমরাও অনুপ্রাণিত হই।
 
এন. এম. জিয়াউল আলম সিনিয়র সেক্রেটারি, আই সি টি ডিভিশন ওস্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মাননীয় চেয়ারপার্সন বলেন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিনিয়াগ গ্রহণকারীদের প্রথম সিরিজটি প্রকাশ করতে পেরে আমরা গর্বিত এবং সামাজিকভাবে কার্যকর ও সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ সর্বমোট ১০০ কোটি টাকা ২০২১ সালে বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা একটি উদ্ভাবনী কেন্দ্রিক অর্থনীতি এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিকাশে অবদান রাখতে পারবো বলে আশা করছি।

স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), টিনা জাবীন বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনা অসীম ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া পথে কনট্রিবিউশন করতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত।

উক্ত অনুষ্ঠানে ডা. ফাহরিন এর অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব ভাল লাগছে, বিশেষ করে জায়ান্ট কোম্পানির সাথে একই কাতারে দাঁড়াতে পেরে। তবে এটি এখন অনেক বড় দায়িত্ব। যে বিশ্বাস আইসিটি ডিভিশন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড করেছে, সেটিকে যথাযথ মর্যাদায় আমাদের কাজের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ৯০ লাখ লোক ডায়বেটিস এ আক্রান্ত। তাদের জন্য সকল সেবা  নিয়ে অনলাইন এবং অফলাইন কার্যক্রম চালাচ্ছে ঢাকা কাস্ট। ডায়বেটিক রোগীদের সকল ধরনের সেবার মাধ্যমে 'ঢাকা কাস্ট' কে একটা বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম  হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

আমারসংবাদ/কেএস