Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

হল-ক্যাম্পাস খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ইউজিসির সামনে মানববন্ধন

জুন ১৩, ২০২১, ০৬:৩০ এএম


হল-ক্যাম্পাস খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ইউজিসির সামনে মানববন্ধন

আসাবিক হল-ক্যাম্পাস না খুলে অনলাইন বা অফলাইন পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের দাবি হল-ক্যাম্পাস খুলে দিয়েই সশরীরে পরীক্ষা নেয়া হোক। অনলাইনে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হবে বলেও বলছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৩জুন) সকাল ১২ টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ইউজিসি ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে ‘অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন’ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, অনলাইনে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীর জন্য বৈষম্যের শিকার হবেন। আমাদের একটাই দাবি হল-ক্যাম্পাস খুলে দিয়েই অফ লাইনে পরীক্ষা নিতে হবে। অনলাইনে ঠিক মতো ক্লাস করাই সম্ভব হয়নি পরীক্ষা দেয়া কি সম্ভব? যেভাবেই হোক হল খুলে দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও বেসরকারি সংস্থা একশনএইড এক জরিপ করে দেখেছে, ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন পাঠের বাইরে। যারা এতদিন ক্লাস করেনি, তারা পরীক্ষা দেয়ার জন্যও প্রস্তুত নয়। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, যদি স্বশরীরে ক্লাস না নিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়, তবে তা ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য গ্রহণযোগ্য হবে, কিন্তু ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য গ্রহণযোগ্য না। ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থীকে প্রতি এ ধরনের বৈষম্য কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, হল না খুলে পরীক্ষা নেয়া এক ধরনের তামাশার বিষয়। একজন শিক্ষার্থী উত্তর বঙ্গ থেকে এসে পরীক্ষা দিবে? পরীক্ষা দিয়ে কি সে আবার গ্রামে ফিরতে পারবে একদিনেই? পরীক্ষা দিতে এসে দেশের এতগুলো শিক্ষার্থী থাকবে কোথায়? করোনায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা আরো খারাপ মেসে বা বাসা ভাড়া নিয়ে যে পরীক্ষার জন্য থাকবে সে অবস্থা ও নেই। 

আর অনলাইনে ক্লাসে আমরা দেখেছি শতকরা ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই ইন্টারনেট সমস্যার কারনে ক্লাস করতে পারেনি। তাহলে পরীক্ষা কিভাবে দিবে অনলাইনে? তাই শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরন না করে হল খুলে দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হোক এটাই আমাদের দাবি। 

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, হল না খুলে পরীক্ষার আয়োজন করলে অনেক শিক্ষার্থীকে মেস ভাড়া করতে হবে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পক্ষে তা ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। এমনিতেই সারা দেশে লকডাউন চলছে। গরীব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হাতেও টাকা নেই। শিক্ষার্থীদের টিউশনীও বন্ধ। 

এরমধ্যে মেস ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা তারা পাবে কোথায় ? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরীক্ষা ফেলতে পারে, কিন্তু দরিদ্র শিক্ষার্থীরা সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। পরীক্ষা না দিতে পেরে তারা ঝরে পড়বে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রতি এ ধরনের নিকৃষ্ট বৈষম্য কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।

আমারসংবাদ/এআই