আরমান জিহাদ, দোহা (কাতার)
জুলাই ২০, ২০২১, ০৯:৫০ এএম
ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানেই হলো মিলনমেলা। বছর ঘুরে ফিরে আসে ঈদ। ঈদকে ঘিরে শুরু হয় নানা আয়োজন। কোরবানির ঈদেও থাকে তেমন কর্ম ব্যস্ততা। কোরবানির ঈদের কর্ম ব্যস্ততা সবসময়ই হলো খুব বেশি আনন্দের। ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই শুরু হয় গরুর হাঁটে যাওয়া পছন্দ মতো গরু কেনা ইত্যাদির মতো আনন্দের দিকগুলো।
দেশে থাকা মোটামুটি সবাই সেই সকল ধরনের আনন্দের ভাগিদার হলেও বঞ্চিত হই আমরা প্রবাসীরা।আরব দেশগুলোতে বাংলাদেশের একদিন আগেই ঈদ পালন করা হয়। সেই সূত্র ধরে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) কাতার শুরু হয়েছে ঈদ উৎযাপন। ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করছে কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরাও।
সারাবিশ্বে করোনা ভয়াবহতা চলছে। বিশ্বজুড়ে করোনার কারণে আতঙ্কিত সবাই। করোনার মাঝেও তো ঈদের আনন্দ থেমে থাকার নয় কিন্তু প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ঈদের আনন্দ পুরোপুরি ব্যতিক্রম।
সকাল ৫ঃ১৫ মিনিটে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় একযোগে কাতারের সকল মসজিদে। কারো কারো ঈদে ছুটি থাকলেও অনেকের ঈদের দিনেও ডিউটি রয়েছে। যাদের ছুটি তারা ঈদের নামাজ আদায় করে পরিবারের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার চেষ্টা করেন।
তানজিফকো কোম্পানিতে কাজ করেন মিথুন মিয়া নামে এক শ্রমিক আমার সংবাদকে জানায়, ঈদের দিনেও তার ছুটি নেই। স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত তার ডিউটি রয়েছে। নামাজের পর রুমমেইটদের সাথে একটু আনন্দ করার পাশাপাশি বাড়িতে কথা বলে আবার ডিউটিতে চলে যাবেন। চারবছর ধরেই এভাবে সংসারের সুখ শান্তির জন্য প্রবাসে বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে ঈদ পালন করে আসছেন বলেও জানান এই প্রবাসী শ্রমিক।
আমারসংবাদ/এআই