আমার সংবাদ ডেস্ক
আগস্ট ৩, ২০২০, ০৪:৩৩ পিএম
বলিউডের সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যে নতুন মোড় নিলো। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।
এবার জানা গেলো, ক্যারিয়ারে ৫০টি সিমকার্ড বদলেছিলেন সুশান্ত। আর এসব সিমকার্ডের একটিও তার নামে নিবন্ধন করা ছিল না। সুশান্তের মৃত্যু রহস্যের তদন্তকারী বিহার পুলিশের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তাদের তথ্যানুসারে, সুশান্ত যতোগুলো মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতেন। তার মধ্যে একটি তার রুমমেট সিদ্ধার্থ পাঠানির নামে নিবন্ধন করা। তবে সুশান্ত কেন এতোগুলো নম্বর ব্যবহার করতেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
বিহার পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই নম্বরগুলো থেকে কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। সিমকার্ডগুলো কাদের নামে আর কোথা থেকে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এদিকে সিদ্ধার্থ পাঠানি পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন, সুশান্ত আমাকে একটি সিমকার্ড তুলে দিতে বলেছিলেন। তিনি সেটি নিজের নামেই নিবন্ধন করে সুশান্তকে দেন। সব মিলিয়ের সুশান্ত প্রায় ৫০টি সিমকার্ড বদলে ছিলেন।
এছাড়াও বিহার পুলিশের দেয়া একটি বিবৃতি টুইট করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। সেখানে জানানো হয়, সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় তার সাবেক প্রয়াত ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের পরিবারকেও জেরা করা হবে। টুইটে লেখা হয়েছে, গত ৮ জুন মৃত্যু হওয়া সুশান্তের সাবেক ম্যানেজার দিশার পরিবারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই। যদিও আমরা এখনও পর্যন্ত দিশার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। তবে খুব শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
এদিকে সুশান্তের মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দিতে দাবি জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে সিং। তার ভাষ্য, সুশান্তের মামলায় মুম্বাই পুলিশের কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। তারা তদন্তের নামে নিজেদের প্রচার করে গেছে। নানা সেলিব্রেটিদের শুধু জেরাই করে যাচ্ছেন। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। তাই এখন সুশান্তভক্তসহ সবার দাবি, এ মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের ওপর ন্যস্ত হোক।
গত ১৪ জুন বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানের জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ জনকে জেরা করেছে মুম্বাই পুলিশ। এদের মধ্যে রিয়া ছাড়াও রয়েছেন পরিচালক মহেশ ভাট, সঞ্জয়লীলা বানসালিসহ বলিউডের নামী ব্যক্তিরা।