Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭, ০৫:৫৫ এএম


গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক

প্রয়াত বরেণ্য অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার ছায়ায় মায়ায় বেড়ে উঠে অনেকেই খ্যাতনামা হয়েছেন। অভিনয়ের বাইরে আবৃত্তিতেও দারুণ মুন্সিয়ানা ছিলো এই অভিনেতার। তার হাত ধরেই এ দেশে আবৃত্তিশিল্পের বিকাশ ঘটেছে।

কিংবদন্তি গোলাম মুস্তাফার প্রয়াণের একযুগেরও বেশি সময় পর তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ’ চলতি বছর থেকে চালু করেছে ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক’। খ্যাতিমান এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের প্রয়াণ দিবসেই এ পদক প্রদান করা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় একুশের প্রথম প্রহর উদ্যাপন এবং গোলাম মুস্তাফা স্মরণ’সহ দশজনকে পদক দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী ও ‘আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ’র সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোলাম মুস্তাফা কন্যা অভিনয় ও আবৃত্তিশিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ কবিতা আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় মিলনায়তনে উপস্থিত সকল দর্শক তার সঙ্গে কন্ঠ মেলান। এরপর শুরু হয় পদক প্রদানের পালা। অনুষ্ঠানের প্রধান ও বিশেষ অতিথি পদকপ্রাপ্তদের উত্তরীয় পরানোর পাশাপাশি দশ হাজার টাকার চেক এবং পদক প্রদান করেন।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বাংলাদেশের আবৃত্তিকে শিল্পে উন্নীত করতে মুস্তাফা ভাইয়ের ভূমিকা ছিলো অসাধারণ। তার পরিবারের সঙ্গে আমার পারিবারিক ও আত্মার সম্পর্ক। তার সঙ্গে আমার অভিনয়ের যেমন দারুণ অভিজ্ঞতা ছিলো, তেমনি ছিলো আবৃত্তিরও। এমন মহান মানুষের বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যে পদক আজ চালু হলো তা সত্যিই গর্বের, আনন্দের। আমরা আবৃত্তির পুরোধা ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করতে পেরে নিজেরাই সম্মানিত বোধ করছি। আবৃত্তি শিল্পীদের প্রতি সত্যিই এটি শ্রেষ্ঠ উপহার।’ সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘আমাকে আমার বাবা মানুষকে ভালোবাসতে, শ্রদ্ধা করতে এবং স্বাধীনভাবে পথ চলতে শিখিয়েছেন। আমি কথা দিচ্ছি আগামী বছর থেকে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে গোলাম মুস্তাফার জীবনকে উদ্যাপন করবো।’

এবার ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক’ পেয়েছেন নখিল সেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, কামাল লোহানী ও আশরাফুল আলম। এই চারজন পেয়েছেন জীবদ্দশায়। পাশাপাশি মরণোত্তর পেয়েছেন মৃণাল সরকার, ওয়াহিদুল হক, হেমচন্দ্র ভট্টাচার্র্য্য, অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস ও কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী। পদক প্রদানের পর আবৃত্তি পরিবেশন করে আবৃত্তি সংগঠন কন্ঠশীলন, স্বরশ্রুতি, কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র’সহ আরো কয়েকটি সংগঠন।