Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

শ্বাসকষ্ট-বমি: হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এটিএম শামসুজ্জামানকে

বিনোদন প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১, ০৭:২০ পিএম


শ্বাসকষ্ট-বমি: হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এটিএম শামসুজ্জামানকে

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। এবার শ্বাসকষ্টজনিত কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই অভিনেতাকে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ। 

তিনি বলেন, বাবার করোনার কোনো উপসর্গ নেই। তবে অ্যাজমাজনিত কারণেই বেড়েছে তার শ্বাসকষ্ট। বাবার শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় তড়িঘড়ি করেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এদিকে বুধবার বিকেলে অভিনেতাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চেকআপ করাতে নিয়ে যান কোয়েল। এর আগে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় অভিনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন ডাক্তার। 

শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি করোনার আর কোনো লক্ষণ আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে কোয়েল জানান, তার বাবার করোনার আর কোনো উপসর্গ নেই। তবে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামীকাল রিপোর্ট হাতে এলেই বিস্তারিত জানা যাবে।

কোয়েল বলেন, এর আগে গত দু’দিন ধরে আব্বার বমি হচ্ছিলো। তখন আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি ভর্তি হতে চাননি। পরে আজ দুপুরে খাওয়ার পরে দেখি ওনার শরীরটা বেশ খারাপ। তখন জোর করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। বাবার এখন ঠাণ্ডাসহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।

১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি। তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। 

এদিকে কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

আমারসংবাদ/জেডআই