বিনোদন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ০৯:১০ এএম
রুপালী পর্দায় দাপুটে অভিনয় দিয়ে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে নিজের অবস্থান টিকিয়ে রেখেছেন এটিএম শামসুজ্জামান। তিনি কেবল একজন গুণী অভিনেতা নন, তিনি একাধারে একজন পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। বাংলা চলচ্চিত্র এবং নাটকে তার অবদান অবিস্মরণীয়। পর্দার উজ্জ্বল নক্ষত্র এটিএম শামসুজ্জামান আজ সব পেছনে ফেলে পাড়ি জমিয়েছেন দূর আকাশে।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজধানীর সূত্রাপুরে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্যে এই অভিনেতা।
তবে চলচ্চিত্রে অবিস্মরণীয় অবদান থাকা স্বত্তেও এ অভিনেতার মরদেহ দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) নেয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও সর্ব সাধারণের শেষ শ্রদ্ধার জন্য নেয়া হয়নি এটিএমের মরদেহ।
কিন্তু কেন বিএফডিসি এবং শহীদ মিনারে নেওয়া হলো না অভিনেতার মরদেহ?
এ বিষয়ে অভিনেতার মেয়ে কোয়েল জানান, "জীবদ্দশায় আব্বা নিজেই নিষেধ করে গেছেন তার মৃত্যুর পর মরদেহ নিয়ে কোথাও না যেতে। তার দাফন কাজ যেন দ্রুত শেষ করা হয়। এছাড়াও শহীদ মিনার বা এফডিসিতে নিতেও নিষেধ করেছেন।"
এছাড়াও তার জানাজা কে পড়াবেন, কোথায় দাফন করা হবে তাকে সব তিনি নিজে ঠিক করে গেছেন।
কোয়েল বলেন, "আমরা তার আদেশ অনুযায়ীই সব করছি। সেজন্য তার জানাজা একটিই হবে। এমনটাই তার ইচ্ছে ছিলো।"
সূত্রাপুর জামে মসজিদে বাদ জোহর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে মরদেহ রাখা হবে। বাদ আসর তার দাফন সম্পন্ন হবে জুরাইন কবরস্থানে।
আমারসংবাদ/এডি