বিনোদন ডেস্ক
আগস্ট ৭, ২০২১, ১১:৩০ এএম
গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। শনিবার (৭ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
মিশা বলেন, দুই-একজন শিল্পীর নেতিবাচক খবর দিয়ে সকল শিল্পীদের কাজকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। ব্যক্তিগত কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানে এ বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে, সমিতির কোনও সদস্য যদি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে কোনও কাজে লিপ্ত হয় সঙ্গে সঙ্গে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত হবে। সেহেতু আজকের (৭ আগস্ট) সর্ব সম্মতিক্রমে তাদের (পরী ও একা) সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, ডিপজল, অঞ্জনা, রুবেলসহ অনেকে। এতে পরীমনির পাশাপাশি সিনিয়র নায়িকা একার কথাও উল্লেখ করা হয়।
গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। এর আগে আরেক মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন একসময়ের নায়িকা একা।
বনানীর নিজ বাসা থেকে মাদকসহ চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আটকের পর নড়েচড়ে বসেছে ফিল্মপাড়া। পরীমনিকে আটকের চারদিনের মাথায় এ বিষয়ে অনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিল্পী সমিতি থেকে পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হলো।
জানা গেছে, সমিতির গঠনতন্ত্রের ৬-এর ‘খ’ ও ৯-এর ‘গ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সমিতির কোনো সদস্য যদি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে কোনো কাজে লিপ্ত হয় সঙ্গে সঙ্গে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত হবে। তবে আদালতে যদি প্রমাণ হয় তিনি নির্দোষ, তাহলে ফিরে পাবেন পদ। আর যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আজীবনের জন্য সমিতির সদস্যপদ হারাবেন।
এদিকে পরীমনির বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেছিলেন, শিল্পী সমিতি সবসময় শিল্পীদের পাশে থাকবে। এটা ব্যক্তিগত সমিতি না, শিল্পী সমিতি। সভাপতি হিসেবে শিল্পী সমিতির সংবিধান আমাকে সম্মানিত রাখতে হবে। সংবিধান যা বলবে তাই হবে। এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। সংবিধান পাশ কাটিয়ে যেতে পারব না।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) ডিবি কার্যালয়ে পরীমনি প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেছিলেন, শিল্পী সমিতি তৈরি হয়েছিল শিল্পীদের স্বার্থ আর সম্মান রক্ষার জন্য। শিল্পীরা নিজেরাই বিনয়ী হবেন, সমাজের আইডল হবেন। তারা যদি অপকর্মে জড়িয়ে যায় তাহলে আমি বলব, এর দায় সম্পূর্ণ ব্যক্তির। শিল্পীদের উচিত ভালোবাসা দিয়ে দর্শক হৃদয় জয় করা। অর্থের লোভে কেউ খারাপ কাজে জড়িত হলে এ দায় ব্যক্তির।
তিনি আরও বলেছিলেন, শিল্পীর ভালো কাজে সমিতি পাশে থাকবে। খারাপ কাজে কেন থাকবে? সমিতি কোনো খারাপ কাজের সমর্থন দিতে পারে না। পরীমনির বিষয়টি বিচারাধীন। যেহেতু তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে সেহেতু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমিতি ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমরা ভালোকে ভালো বলব, খারাপকে খারাপ বলবো।
আমারসংবাদ/জেআই