Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

পথে ভিক্ষা করা বীর মুক্তিযোদ্ধার গানে মুগ্ধ শিল্পীরা

বিনোদন ডেস্ক

নভেম্বর ২৮, ২০২১, ০৪:৩০ এএম


পথে ভিক্ষা করা বীর মুক্তিযোদ্ধার গানে মুগ্ধ শিল্পীরা

একটি মহান মুক্তিযুদ্ধ, একটি ব্রত, আর ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়েই আজকের বাংলাদেশ। ইতিহাসের পাতায় পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা। দেশরক্ষার লড়াইয়ে, স্বাধীনতা অর্জনের নেশায় মুক্তিযোদ্ধারা কখনো পিছপা হয়নি। তাদের দেশপ্রেমের কাছে হার মানতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। বুকের রক্ত দিয়ে তারা ছিনিয়ে নিয়েছিল স্বাধীনতাকে।

কিন্তু যাদের আত্মত্যাগের জন্য আজ আমরা স্বাধীন সেই বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজ লড়ে যাচ্ছে জীবনযুদ্ধে। তাদেরই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ। জীবনের তাগিদে পথে পথে ভিক্ষা করতে হচ্ছে তাকে! 

শনিবার (২৭ নভেম্বর) নাটোরের বড়াইগ্রাম সরকারি কলেজে গান গাইতে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সোহেল মেহেদি। তার সঙ্গে আরও আছেন রাত্রি চৌধুরী, ঝিলিক বাবু ও তাদের দল। যাত্রাপথে বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপের দেখা পান তারা। যিনি এসেছিলেন কিছু অর্থ সাহায্যের আশায়।

কিন্তু সোহেল ও অন্যান্য শিল্পীদের পরিচয় পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ নিজেই হয়ে উঠেন গায়ক। গেয়ে শোনান পুরোনো ভারতীয় বাংলা গান ‘আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন’।

সোহেল মেহেদি ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার গান গাওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‌‘আমরা নাটোর শো'তে যাওয়ার পথে এলেঙ্গা সিএনজি স্টেশনে গাড়ির গ্যাস নিতে দাঁড়িয়েছি। এ সময় মুরুব্বি সাহায্য চাইতে এলেন এবং তারপর দেখি উনি গুণগুণ করে গান গাইছেন। আমার কি যে ভালো লাগলো উনার দরদভরা কণ্ঠ শুনে। কথা বলে জানলাম উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। উনার নাম দীলিপ। সাথে সাথে ভিডিও করলাম। স্যালুট চাচা।’

[embed]<iframe width="677" height="381" src="https://www.youtube.com/embed/8h2qS14XdKY" title="YouTube video player" frameborder="0" allow="accelerometer; autoplay; clipboard-write; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture" allowfullscreen></iframe>[/embed]

তবে যাত্রাপথে এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়ে সোহেল মেহেদিকে যেমন আনন্দে ভরিয়েছে তেমনি বেদনাও জাগিয়েছে মনে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মনটা খুবই খারাপ হয়েছে, দেশের স্বাধীনতা আনতে যে মানুষটা জীবন বাজি রেখে অস্ত্র ধরে শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন সেই মানুষ আজ দারিদ্যের কষাঘাতে জর্জরিত। ৭০ পার হয়েছে বয়স। এ বয়সে এসে জীবনের তাগিদে তাকে পথে পথে ভিক্ষা করতে হচ্ছে!'

তিনি আরও বলেন, 'জানিনা উনি সরকারি সুযোগ সুবিধা পান কি না। বিস্তারিত কথা বলার সুযোগ হয়নি। কিন্তু তার সঙ্গে সাক্ষাৎটি খুব কষ্ট দিচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা মানুষের কাছে হাত পাতছেন বেঁচে থাকার জন্য!’

সোহেল মেহেদি যোগ করেন, ‘একজীবনে অনেকের সঙ্গেই দেখা হয় আমাদের। অনেককে ভুলেও যাই। কিন্তু এ মুক্তিযোদ্ধা চাচার কথা ভুলবো না। কী চমৎকার গান করেন তিনি। এ বয়সেও দরদ নিয়ে গান করে নিজের মনকে ভালো রাখার চেষ্টা করেন। মানুষকে বিনোদন দেন।'

আমারসংবাদ/এডি