Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বছরজুড়ে বিয়ের আসরে তারকারা

ডিসেম্বর ৩১, ২০২১, ০৮:৩০ পিএম


বছরজুড়ে বিয়ের আসরে তারকারা

তারকাদের অনেক বিষয়ের প্রতিই আগ্রহী ভক্ত-অনুরাগীরা। এরমধ্যে তাদের প্রেম-বিয়ের মুখরোচক আলোচনায় ব্যস্ত থাকে ভক্তকুল। তারকাদের বিচ্ছেদে যেমন তারা কষ্ট পান, তেমনি তারকাদের ঘর বাঁধার খবরে হন আনন্দিত। গেল বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসা তারকাদের নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন-

হাবিব ওয়াহিদ: গেলো বছরের ১২ জানুয়ারি মডেল আফসানা চৌধুরী শিফাকে বিয়ে করেন সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। হাবিবের স্ত্রী শিপা ইডেন মহিলা কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রী। এর আগে হাবিব ২০০৩ সালে প্রথম বিয়ে করেন লুবায়নাকে। সে বিয়ে বেশি দিন টেকেনি। এরপর ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর পারিবারিক পছন্দে চট্টগ্রামের মেয়ে রেহানকে বিয়ে করেন হাবিব। সে সংসারও ভেঙে যায় ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি। এরপর গেল বছরের শুরুতে তৃতীয় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই গায়ক।

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব: গেল বছরের ২ সেপ্টেম্বর অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বও বিয়েরবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শাম্মা দেওয়ান। এটি অপূর্বর তৃতীয় আর শাম্মার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ২০১১ সালের ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। ৯ বছরের সংসারের ইতি টানেন তারা। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বিচ্ছেদের কথা জানান অদিতি। এই দম্পতির ‘আয়াশ’ নামের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। এর আগে, ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট পালিয়ে গিয়ে অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব।

সঙ্গীতশিল্পী পুতু: সঙ্গীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল গেল বছরের ১৪ এপ্রিল রাতে ঘরোয়া আয়োজনে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তার বর সৈয়দ রেজা আলী অস্ট্রেলিয়ার এটি ব্যাংকে কর্মরত এবং তিনি গিটারিস্টও। এর আগে ২০১৯ সালের ২০ মার্চ কানাডা প্রবাসী আলোকচিত্রী ইসলাম নুরুলের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন পুতুল। মত ও আদর্শিক মিল না হওয়ায় ক’দিনের মধ্যেই দূরত্ব বাড়তে থাকে তাদের। একই বছর সেটা চূড়ান্ত রূপ নেয় বিচ্ছেদে। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে তাদের বাগদানের দুই বছর পূর্তির আগে গেলো বছরের ১৪ মার্চ।

তামান্না: ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া প্রয়াত পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘ভণ্ড’ ছবিতে নায়ক রুবেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে জনপ্রিয়তা পান নায়িকা তামান্না। লাবণ্যময়ী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নিরহঙ্কার অমায়িক চরিত্রের তামান্নাকে এই ছবিটি পৌঁছে দেয় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় তিনি কাজ করেন। ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকতেই চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নিয়ে উন্নত জীবনযাত্রার টানে পাড়ি জমান সুইডেনে। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তিনি। তামান্নার স্বামী গুজরাটি মুসলিম সুইডেনে বসবাসরত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ দাইয়া। গত ২৬ নভেম্বর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

মাহবুবা ইসলাম রাখি: শোবিজ ছেড়ে প্রায় আট বছর আগে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান লাক্সতারকা মাহবুবা ইসলাম রাখি। এক সময়ের জনপ্রিয় এই মডেল সেখানে থাকা অবস্থাতেই সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে প্রেমে জড়ান। দেড় বছরেরও বেশি সময় প্রেমের পর গেল বছরের ১৯ মে দুবাইতে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। এরপর ২১ মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। সাজ্জাদ হোসেন পেশায় একজন বিজনেসম্যান। বাংলাদেশে জন্ম হলেও তার বেড়ে ওঠা সিঙ্গাপুরে। সেখানেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি।

মাহিয়া মাহি: চুপিসারে দীর্ঘদিন প্রেম করার পর গেলো বছর তৃতীয় বিয়ের খবর দেন নায়িকা মাহিয়া মাহি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মধ্য রাতে রাকিব সরকারের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে বিয়ের কথা জানান মাহি। তার স্বামীর নাম রাকিব সরকার। তিনি ব্যবসায়ী ও গাজীপুরের এক রাজনীতিক পরিবারের সন্তান। এর আগে ২০১৬ সালের ২৫ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। গত বছরের ২৪ মে বিচ্ছেদের খবর জানান তারা। এরও আগে ২০১৫ সালের ১৫ মে কাজী মো. সালাউদ্দিন ম্যারেজ রেজিস্টারের মাধ্যমে শাওন নামের একজনকে বিয়ে করেন মাহি। ২০১৬ সালে অপুকে বিয়ের পর শাওনের সাথে বিয়ের বিষয়টি আলোচনায় আসে।

নাজমুন মুনিরা ন্যানসি: গত বছরের আগস্টের শেষ সপ্তাহে তৃতীয়বার বিয়ে করে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি। গীতিকবি মহসীন মেহেদীকে বিয়ে করেন তিনি। গানের সুবাদে মহসীন মেহেদীর সঙ্গে ন্যানসির পরিচয়। ২০২০ সালে মহসীনের লেখা ‘এমন একটা মন’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দেন গায়িকা। এরপর থেকেই দু’জনের মধ্যে হূদ্যতা গড়ে ওঠে। ন্যানসি এর আগে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নাজিমুজ্জামান জায়েদকে বিয়ে করেছিলেন। তারও আগে ২০০৬ সালে ভালোবেসে তিনি বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আবু সাঈদ সৌরভকে। ২০১২ সালের ২৪ মে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

বিদ্যা সিনহা মিম: চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের জন্মদিন ছিল গেলো বছরের ১০ নভেম্বর। জন্মদিনের বিশেষ দিনে বাগদান সারেন এই অভিনেত্রী। তার হবু স্বামীর নাম সনি পোদ্দার। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। সনির সাথে বান্ধবী অর্নির মাধ্যমে মিমের পরিচয় ছয় বছর আগে। তারপর বন্ধুত্ব হয়। সেখান থেকে প্রেম। এরপর নিজের পছন্দের ছেলেকে পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মিম। বাবা-মা রাজি হওয়ায় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খুব শিগগিরই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।